কবর পাকা করার দলিল খন্ডন
জনৈক হুজুর (উনার নাম না জানা আমার অজ্ঞতা) খুবই চমৎকার করে কবর পাকা করার জন্য বিভিন্ন যুক্তি পেশ করেছেন। যা যেকোনো ধর্মপ্রাণ সরল সোজা মুসলমানদের মনে দাগ কাটবে। আমি আমার সাধারণ জ্ঞানে কিছু বিষয় এখানে আলোচনা করব। কাউকে কটাক্ষ করে নয় বরং নিজেই নিজেকে জানার জন্য আমি একটি চেষ্টা করছি। জানি না সবাই আমার বিশ্লেষণকে কীভাবে দেখবেন।
আমার আগের একটি বিশ্লেষণে আমি খুবই সহজ সরলভাবে বুঝেছি এবং তা বলার চেষ্টা করেছি যে, কবর পাকা, উঁচু (নিয়মের অতিরিক্ত) চুনকাম করা এবং এর উপর স্থাপনা তৈরি করা সহীহ্ হাদীস মোতাবেক নিষিদ্ধ। এখন একটি ভিডিও দেখলাম যেখানে এই হুজুর বিভিন্ন আলেম ওলামাদের কিতাব থেকে খুবই জোর প্রচেষ্টা করছেন কবর পাকা, উঁচু, এবং মাজার তৈরি হালাল ভাবে জায়েজ করতে।
আমি কোনো আলেম নই। তবে আল্লাহ তাআলা যতটুকু জ্ঞান দিয়েছেন ততটুকু দিয়ে উনার যুক্তিগুলো খন্ডন করার চেষ্টা করছি। আমার ভুল অবশ্যই সংশোধনযোগ্য। আশাকরি সময় নিয়ে পুরো লেখাটি পড়ার এবং বুঝার চেষ্টা করবেন। আমার ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রথম কথা হচ্ছে তিনি যেসব হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছেন সবগুলোই সহীহ্। আর উনার দেওয়া সকল সহীহ্ হাদীসই হচ্ছে কবর পাকা, উঁচু, এবং স্থাপনা করার বিপক্ষে। উনি একটি সহীহ্ হাদীসও দেখাতে পারেননি যেখানে রাসুল (সাঃ) বলেছেন বা করেছেন যে তোমরা কবর পাকা করো। বরং কবর পাকা না করার কথা অসংখ্য অসংখ্য হাদীসে এসেছে। এবং তিনিও তা স্বীকার করেছেন।
তাহলে উনার দূর্বলতা হচ্ছে _ উনি কোনো সহীহ্ হাদীস দেখাননি কবর পাকা করার পক্ষে । শুধু একটি হাদীসে এসেছে (বুখারীর হাদীস), যেখানে হযরত উসমান ইবনে মাজউন (রাঃ) এর কবরে(যিনি রাসুল সাঃ এর দুধভাই ছিলেন) একটি পাথর দিয়েছিলেন চিহ্ন হিসাবে। কেননা তখনো ব্যাপকভাবে মুসলমানদের কবর দেওয়া শুরু হয়নি। আর শুধু পাথর দিয়েছিলেন কোনো ভাবেই পাকা বা চুনকাম ইত্যাদি করেননি। অথচ এই উসমান ইবনে মাজউন (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ১৪তম মুসলমান। তিনি জাহেলি যুগ থেকেই খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। যার মৃত্যুতে রাসুল (রাঃ) কেঁদেছিলেন এবং তাঁকে চুমু দিয়েছিলেন। এই মহান ব্যক্তির কবর পাকা হয়নি। শুধু পাথর দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত উনার যুক্তি হচ্ছে হাদীসের দুই ধরনের ব্যাখ্যা। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জন্য একটি ব্যাখ্যা আর জ্ঞানী আলেম মানুষের জন্য একটি ব্যাখ্যা। আমি জানিনা এমন কোনো কথা ইসলামে আছে কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে রাসুল (সাঃ) উনাদের চেয়ে কম বুঝেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। কেননা শতশত হাদীসে এসেছে কবর পাকা, চুনকাম এবং স্থাপনা করা যাবে না। যদি এমন কোনো বিষয় থাকতো যে এইসব সাধারণ মানুষের জন্য আর জ্ঞানীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে কবর পাকা করা যাবে, তাহলে তা অবশ্যই সহীহ্ হাদীসে আসতো। শুধু তাইনয় সাহাবীদের, তাবেয়ীদের জীবন থেকেও আমরা এর প্রমাণ পেতাম। যা তিনি প্রমাণ সহকারে দেখাতে পারতেন। কিন্তু শ্রদ্ধেয় হুজুর কোনো হাদীস এবং সাহাবীগণের কাজের দ্বারা এমন প্রমাণ দিতে পারেননি।
উনি প্রমাণ দিচ্ছেন ৫/৬ শত বছর পরের বিভিন্ন মনীষীদের ফতোয়া। ইসলাম কি পরিপূর্ণ নয়। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কি তাঁর দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে পালন করেনি যে, অন্য কারো জন্য ইসলামের কিছু বিধান বাকি রেখে গেছেন? উনি ইমাম শারানীর কিতাবের কথা এনেছেন। ইসমাঈল ত্বকী রচিত রুহুল বয়ান কিতাবের কথা এনেছেন। যারা হচ্ছেন সুফিবাদের মানুষ। যাদের আকিদাগত সমস্যা আছে। (প্রয়োজনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিবেন)। উনি কোনো মাজহাবের ইমামদের রেফারেন্স দেননি। তাহলে কীভাবে তার কথার ভিত্তি আমরা পাবো?
যে যুক্তির ভিত্তিতে উনি আলেমদের কবরকে মাজার করার কথা বললেন সেই যুক্তির আওতায় কি রাসুল(সাঃ) এর সাহাবীগণ পড়েন না? আল্লাহর রাসুল (সাঃ) নিজ হাতে শতশত সাহাবীদের কবর দিয়েছেন। শতশত শহীদদের কবর তিনি দিয়েছেন। সেইসব শহীদগণ এবং সাহাবীগণ কি বর্তমান এইসব পীর আউলিয়াদের চেয়ে কম মর্যাদার ছিলেন? যারা বর্তমানে নিজেদের পীর আউলিয়া বলছেন তাদের কি কেউ স্বীকৃতি দিয়েছে যে, ইনারা পীর আউলিয়া? কিন্তু আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) সাহাবীগণদের আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তাঁরাও (রাঃ) আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। শুধু তাইনয় রাসুল (সাঃ) নিজে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাঁর সাহাবীগণ, তাবেয়ীগণ এবং তাবে তাবেয়ীগণই হচ্ছেন (পর্যায়ক্রমে) সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম। অর্থাৎ এই পৃথিবীতে পরবর্তীতে যত ঈমানদার আসবেন তারা কেউ উনাদের সমান সম্মানিত হতে পারবেন না। সুতরাং রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীগণ যদি এত সম্মানিত হওয়ার পরও তাঁদের কবরকে খাসভাবে আলাদা করা না হয়, পাকা করা না হয়, অতিরিক্ত সম্মান দেওয়া না হয়। তাহলে এখন যাদের কবরকে মাজার করছে তারা কি সাহাবাদের চেয়েও বেশী মর্যাদাশীল?
উল্লিখিত বক্তা যুক্তি দেখিয়েছেন যে পীর আউলিয়ারা হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শন । তাই তাঁদের সম্মান জানানোর জন্য কবর পাকা করা দরকার!! আমার প্রশ্ন হচ্ছে _পীর আউলিয়ারা কি সাহাবীদের চাইতে বেশী মর্যাদাপূর্ণ আল্লাহর নিদর্শন ? আল্লাহর এইসব নিদর্শন কি ইসলাম আবির্ভাবের ৪/৫শ বছর পরে আবির্ভুত হয়েছেন? যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে রাসুল (সাঃ) আমাদের পরিপূর্ণ ইসলাম শিক্ষা দিয়ে যাননি (নাউজুবিল্লাহ)।
ইসলাম মনগড় কোনো ধর্ম নয়। ইসলামে কোনো কিছুই বাপ দাদার নামে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। ইসলাম বলে যা ই আপনি প্রচার এবং প্রসার করতে চাইবেন তা জন্য অবশ্যই শক্তিশালী দলিলের প্রয়োজন হবে। ইসলাম যদি দলিল ভিত্তিক ধর্ম না হয়ে থাকে তাহলে ইসলাম ধর্মের আর হিন্দু ধর্মের পার্থক্য কোথায়?
এতক্ষণ আমি শ্রদ্ধেয় আলেমের যুক্তি গুলো খন্ডিত করার চেষ্টা করেছি। আমরা সকলেই জানি অসংখ্য হাদীস এসেছে কবর পাকা না করার, চুনকাম না করা, স্থাপনা না করা, কবরকে সিজদার জায়গায় না বানানো, কবরকে উৎসবের জায়গায় না করা, কবরকে কারুকাজ না করা ইত্যাদি।
(কবর সম্পর্কিত হাদীস
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=121482969579873&id=103754624686041
এই সমস্ত হাদিসের লিঙ্ক এখানে)
কিন্তু কেন এইভাবে কবরকে কোনো কিছু করার কথা রাসুল (সাঃ) দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে গেছেন? উক্ত বক্তা কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণ দিতে পারেননি যে, উনি যেভাবে কবর পাকা করার কথা বুঝেছেন এবং আমাদের বুঝিয়েন। কিন্তু উনার কথার বিপরীতে এতো এতো অসংখ্য হাদীস রয়েছে যা উনি জেনেশুনে চেপে গেছেন। আমার প্রশ্ন কেন রাসুল (সাঃ) কবরের প্রতি হুশিয়ার দিয়ে গেছেন মৃত্যুর সময়েও? সারাজীবন এতো বলার পরও রাসুলের (সাঃ) ওফাতের শেষ মুহূর্তেও বার বার করে ইহুদী খ্রিস্টানদের উপর আল্লাহর লানতের কথা বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। ইহুদী খ্রিস্টানদের প্রতি আল্লাহর লানত কেন? তার কারণ তারা তাদের নবী রাসুলদের (আঃ) কবরকে মসজিদ করেছে এবং সিজদার জায়গায় বানিয়েছে।
প্রিয় রাসুল (সাঃ)ও নিজের কবরের প্রতি এমন আশঙ্কা থেকেই বারবার হুশিয়ারি দিয়ে গেছেন। তাহলে আমরা হাদীস বিশ্লেষণ করলেই দেখতে পাচ্ছি কেন কবরকে মাজার করা যাবেনা। সহীহ্ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, শির্কের শুরু হয় ছবি, মূর্তি এবং কবর থেকে। আমরা জানি যে নূহ (আঃ) পরবর্তীতে কীভাবে তার জাতি শির্কে লিপ্ত হয়েছে। শয়তান এসে কীভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লোকদের তাদের বুজুর্গদের ছবি, মূর্তি এবং কবর দিয়ে শির্ক করিয়েছে।
আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) এই দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় যে মিশন নিয়ে এসেছেন তা হচ্ছে তাওহীদ। অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদ। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে শির্ক মুক্ত করা। তাই পবিত্র কুরআনে প্রতিটি জায়গায় শির্কে বিরুদ্ধে আল্লাহ হুশিয়ারি দিয়েছেন। আর এই শির্কের উৎপত্তি হয় বুজুর্গদের কবর থেকে। তাই রাসুল (সাঃ) সবসময়ই কবরকে সমতল করার কথা বলেছেন।
শ্রদ্ধেয় বক্তা এখানে একটি হাদিসের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেছেন, যে হাদীসে কবর সমতল করার কথা এসেছে তা মুশরিকদের কবরের জন্য প্রযোজ্য। এখন কথা হচ্ছে মুশরিকগণ কবর দিয়ে কী করেন? তারা এইসব কবরের দ্বারা শির্কে লিপ্ত। এই একই হাদীসে মূর্তি এবং ছবি ধ্বংস করার কথাও এসেছে। তাহলে মূর্তি এবং প্রতিকৃতি দ্বারা কী করা হয়? সেই একই কথা এইসব দ্বারা শির্ক করা হয়। যাতে করে শির্ক ধ্বংস হয় তার জন্য এইসব ধ্বংসের কথা হাদীসে এসেছে।
এখন আমার প্রশ্ন মুশরিকগণ যেসব মূর্তি, কবর এবং প্রতিকৃতি দ্বারা শির্ক করতো, তা কি আমাদের বর্তমান একশ্রেণির মুসলিম সমাজে নেই? অবশ্যই আছে। মক্কার মুশরিকগণ আল্লাহকে বিশ্বাস করতো আর এইসব মূর্তিকেও ডাকতো। তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতো। যা এখন বর্তমান মুসলিম সমাজে হচ্ছে। তারা বিভিন্ন আউলিয়ার মাজার কবরে গিয়ে সেই একইভাবে সাহায্য কামনা করছে যা আবু লাহাব, আবু জাহেল করেছিল। তাহলে তাদের সাথে আপনাদের পার্থক্য কী? (আবু জাহেলের ইসলাম এবং আমরা
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=103927771335393&id=103754624686041)
এই বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন এখানে)
সহীহ্ যেসব হাদীসে কবরকে সিজদার জায়গায় না বানানো, মসজিদ না বানানো, কবরকে সামনে রেখে সালাত আদায় না করা, কবরকে ঘিরে বিভিন্ন উৎসব (ওরস ইত্যাদি) না করার, কবরকে কারুকাজ না করা ইত্যাদি হুশিয়ারি এসেছে। তার বিপক্ষে কি কোনো সহীহ্ হাদীস আছে? সম্মানিত আলেম কি এইসব হাদীস অস্বীকার করতে পারবেন? যদি অস্বীকার করতে না পারেন তাহলে তিনি কোন যুক্তিতে কবরকে পাকা করে মাজার বানানোর যুক্তি দেখাচ্ছেন? আজ এইসব কবরকে ঘিরেই শির্কের আখড়া হচ্ছে। মাজারে নারী পুরুষদের নাচানাচি আর মাদকের আসর হচ্ছে। এইসব করার জন্যই কি তিনি কবরকে মাজার বানানোর যুক্তি দিচ্ছেন? নাকি এইসব মাজারবাসীর পরবর্তী বংশধরদের জন্য নিশ্চিত ইনকামের পথ উন্মুক্ত করছেন। যাতে করে যুগ যুগ ধরে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়।
সুস্পষ্ট হাদীসে এসেছে জাহেলি যুগে কবর যিয়ারত নিষিদ্ধ ছিলো। যখন চারদিকে শির্ক মুক্ত হয়ে ইসলামের ঝান্ডা উড়ছে তখনই রাসুল (সাঃ) কবর যিয়ারতের অনুমতি দিলেন। এবং শর্ত জুড়ে দিলেন যে, কবর যিয়ারত এইজন্য করবে যাতে তোমাদের মৃত্যুর কথা স্বরণ হয়। অন্য দ্বিতীয় কোনো কারণ নেই। আর আজ একশ্রেণির মুসলমান মাজারে যাচ্ছে কবরবাসীর কাছ থেকে কিছু চাওয়ার আশায়। যা সরাসরি ইসলামী মূলনীতির বিরুধী।
উপরোক্ত বিশ্লেষণ এটা খুবই স্পষ্ট যে ইসলাম কোনো অবস্থাতে কবরকে শির্কের আখড়া করার জন্য পাকা করে মাজার সৃষ্টি করা সমর্থন করে না। বর্তমান পীর আউলিয়াদের চাইতে তৎকালীন সাহাবীগণ শতকোটি গুণ বেশী আল্লাহর কাছে মর্যাদাশীল। তাদের কবর যদি মাজার না হয়, তাহলে এই উপমহাদেশে কেন এতো মাজার? এটা কি সঠিক ইসলাম? আর কবরবাসী থেকে কিছু চাইলে তাঁরা দিতে পারলে রাসুল (সাঃ) এর চাইতে আর কে বড় আছেন? যদি কবরবাসীগণ কিছু দেওয়ার মালিক হলে তবে রাসুল (সাঃ) হবেন সবচাইতে বেশী দেওয়ার ক্ষমতাশালী।
এমন কোনো হাদীস কি আছে যেখানে রাসুল (সাঃ) পরবর্তী কোনো সাহাবীগণ খলিফায়ে রাশেদ্বীন ইত্যাদি রাসুল(সাঃ) এর কাছে কোনো কিছু চেয়েছেন? যদি এমন প্রমাণ না থাকে তবে কীসের ভিত্তিতে আজ আমরা কবরবাসীর কাছে চাইতে যাচ্ছি? সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, যারা কবরে শায়িত তাদের আর আমল নেই। তাঁরা দুনিয়াবাসীর মুখাপেক্ষী। দুনিয়াবাসী দোয়া করলে তবেই তাদের লাভ। তাহলে কেন আমরা কবরকে মাজারে রুপান্তরিত করব। যাদের কবরকে ঘিরে অসৎ উদ্দেশ্য থাকে শুধু তারাই কবরকে মাজারে পরিনত করছে।
আমার এই বিশ্লেষণ কখনোই কোনো পীর আউলিয়ার বিরুদ্ধে নয়। কেউ এই ভুল বুঝবেন না। আমার কথা হচ্ছে ইসলাম কবরকে কী রুপে স্থান দিয়েছেন তা সঠিকভাবে জানানো। ইসলাম শির্কের বিরুদ্ধে খুবই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আর এই কবরকে মাজারে পরিনত করার ফলে এই শির্কের প্রবণতা খুব দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ঈমানকে সঠিক রাখতে হলে অবশ্যই শির্কমুক্ত থাকতে হবো। কেননা যে ব্যক্তি শির্কের পাপ নিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে সে কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সুতরাং আসুন সঠিক ইসলাম জেনে তা মানার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দান করুন আমিন।