নিফাক কীঃ
নিফাক হলো অন্তর্গত বিশ্বাসের রোগ। এই রোগের উপসর্গ হলো বিশ্বাসকে গোপন রাখা। ইসলামের দৃষ্টিতে নিফাক হলো, প্রকাশ্যে ঈমানের দাবি করে গোপনে অস্বীকার করা। হতে পারে ইচ্ছাকৃত হতে পারে জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে না জেনে অপ্রকাশ্য অস্বীকার করা। যে ব্যক্তি নিফাকে আক্রান্ত তাকে বলা হয় মুনাফিক। এই ব্যক্তি তার ভালো গুণ গুলো প্রকাশ করে খারাপ গুণ লুকিয়ে রাখে।
নিফাক দুই ধরনের।
১) বিশ্বাসগত নিফাক
২) কর্ম বা আমলগত নিফাক।
১) বিশ্বাসগত নিফাকঃ
যে মুনাফিক প্রকাশ্যে ঈমানের ঘোষণা দিয়ে মনে মনে আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে বিরুপ ধারণা পোষণ করে। আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (সাঃ) বিরুদ্ধে গোপনে ঘৃণা প্রকাশ করে এবং রাসুলের (সাঃ) বিরুদ্ধাচরণ করে তারা হচ্ছে বিশ্বাসগত মুনাফিক। এই জাতীয় মুনাফিক রাসুল (সাঃ) জীবদ্দশায় ছিলো। তারা ঈমানের দাবি করেও সুযোগ সময়ে রাসুলের বিরুদ্ধে অপবাদ এবং তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করতো। সেইসাথে কাফিরদের সাথে মিলিত হয়ে রাসুল (সাঃ) হত্যার পরিকল্পনায় করেছিল। এইজাতীয় মুনাফিক হচ্ছে কাফেরের সমতুল্য। এদের অবস্থান জাহান্নামে। বর্তমানে কিছু এজেন্টধারী মুনাফিক ছাড়া এমন মুনাফিক সচারচর নেই।
২) কর্ম বা আমলগত নিফাকঃ
মুখে ঈমানের দাবি করে অন্তরে ঈমানের পরিপন্থী ধারণা পোষণ করে কাজে কর্মে তা প্রকাশ করা। সেইসাথে ইসলামী আইনকানুনের প্রতি বিদ্বেসসহ আমলের ব্যাপারে গাফিলতি করাই হচ্ছে আমলগত নিফাক। অর্থাৎ এইজাতীয় ব্যক্তি ইসলামের বিরুদ্ধে নয় বরং ইসলামের বিধিনিষেধ মেনে চলে না। যেসব আমল করা দরকার তা পরিত্যাগ করে এবং যা নিষেধকৃত তা বাস্তবায়ন করে। মোটকথা ইসলামের প্রতি উদাসীন ব্যক্তি এই শ্রেণীতে পড়ে। বর্তমান বিশ্বে এইজাতীয় মুনাফিকের সংখ্যাই বেশী।
কারা মুনাফিকঃ
পবিত্র কুরআন এবং হাদীসে মুনাফিক চেনার জন্য অসংখ্য আয়াত এবং হাদীস এসেছে। আমরা এইসব আয়াত এবং হাদীস পর্যালোচনা করলে খুব সহজেই বুঝতে পারবো কাদের মধ্যে নিফাকী রয়েছে।
আল্লাহর বিধান বিদ্বেষীঃ
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়। [ সুরা বাকারা ২:৮]
এই আয়াতটি স্পষ্ট করে বলছে, এমন কিছু ঈমানের দাবিদার আছে যারা মুখে ঈমান আনে কিন্তু কখনোই ঈমানদার হতে পারে না তাদের কর্মগুণে। অর্থাৎ তাদের কর্মকান্ডই বলে দেয় যে এরা ঈমানদার নয়। সুতরাং এরা মুনাফিক। যেমন আল্লাহ বলেন -
আর যখন তাদের বলা হয় — ”আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রসূলের দিকে এসো’’, তুমি দেখতে পাবে মুনাফিকরা তোমার কাছ থেকে ফিরে যাচ্ছে বিতৃষ্ণার সাথে। (৪: ৬১)
অর্থাৎ যাদেরকে আল্লাহ এবং রাসুলের পথে চলার জন্য আহবান করা হয় তারা সেদিকে না এসে অবজ্ঞার সহিত অন্যদিকে ফিরে যায় তারাই হচ্ছে মুনাফিক। এখন আমাদের সমাজে এমন মুসলমান ভুড়িভুড়ি। যারা শুধুমাত্র জন্মগত মুসলমান। ইসলামের আইনকানুন বিধিনিষেধের প্রতি তাদের কোনো তোয়াক্কা নেই। কোনপ্রকার আমলের ধারেকাছে নেই। দুনিয়াদারীই হচ্ছে তাদের কাছে গুরত্বপূর্ণ। আখিরাতের বিশ্বাস নেই বলে আখিরাতের চিন্তাও নেই। এরাই হচ্ছে প্রকৃত মুনাফিক।
আচরণগত মুনাফিকঃ
পবিত্র হাদীস শরীফে মুনাফিকদের নিয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হাদিসটি হচ্ছে -আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ‘স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে সে খাঁটি মুনাফিকগণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে। (সে স্বভাবগুলি হল,) ১। তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২। কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩। ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং ৪। ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে।’’
(সহীহুল বুখারী ৩৪, ২৪৫৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮, তিরমিযী ২৬৩২, নাসায়ী ৫০২০ আবূ দাউদ ৪৫৮৮, আহমাদ ৬৭২৯, ৬৮২৫, ৬৮৪০)
এই হাদিসটি আমরা সবাই জানি। এই হাদীস অনুসারে উপমহাদেশে ৮০ শতাংশের উপরে মুসলমান মুনাফিকী নিয়ে বাস করছে। কেননা বর্তমান সময়ে মিথ্যা বলে না এমন একজন মানুষ পাওয়া দুষ্কর হবে। আর ওায়াদা ভঙ্গ এবং আমানত খিয়ানতও স্বাভাবিক না হলেও পাওয়া কষ্টকর। আর অশ্লীল ভাষাতো এধরনের রেওয়াজে পরিনত হয়েছে। আমরা কেউ এরথেকে বেঁচে নেই গুটিকয়েক বাদে।
সালাত পরিত্যাগকারীঃ
ইবনে মাজাহ হাদীস শরীফে ৭৭৭ নং এবং মুসলিম ৬৫৪, আবূ দাঊদ ৫৫০, আহমাদ ৩৫৫৪, দারিমী ১২৭৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৮৮, সহীহ আবূ দাউদ ৫৫৯। একটি হাদীস এসেছে, যেখানে বলা হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতের সহিত আদায় না করা মুনাফিকের লক্ষণ। অর্থাৎ শুধুমাত্র মুনাফিকরাই জামায়াতে সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকত।
আর বর্তমান সমাজে সালাত জামায়াতে পড়া তো দূরের কথা, সালাতই আদায় করে না সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। যদি জামায়াতে সালাত আদায় না করা নিফাকী হয়, আর সালাত একেবারেই আদায় না করা কী হবে? অথচ আমাদের দেশে এমন মুনাফিকী মুসলমানের অভাব নেই।
সালাতে অলসতাকারীঃ
আল্লাহ্ বলেন,
অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে। [ সুরা নিসা ৪:১৪২ ]
এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট যে, সালাত খুযু খুশুর সহিত আদায় না করা মুনাফিকের লক্ষণ। সেইসাথে লোক দেখানোর জন্য সালাতে অংশ নেওয়া হলেও মুনাফিক বলে গন্য হবে। আমাদের সমাজে মানুষ বৃদ্ধ হলে তবেই সালাতে অংশ নেয়। শক্তি সমর্থ থাকা অবস্থায় কখনো মসজিদমুখী হয়না। অর্থাৎ যখন কোনো কাজ করার থাকে না তখনই মানুষ সালাতে অংশ নেয়। যা স্পষ্টত নিফাকী।
কুরআন অস্বীকারকারীঃ
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে (সূরা মারইয়্যামের ৫৯ আয়াত পাঠ করার পর) বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,
“ষাট বছর পর কিছু অপদার্থ পরবর্তীগণ আসবে, তারা নামায নষ্ট করবে ও প্রবৃত্তিপরায়ণ হবে; সুতরাং তারা অচিরেই অমঙ্গল প্রত্যক্ষ করবে। অতঃপর এক জাতি আসবে, যারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠের অক্ষকাস্থি পার হবে না। (হৃদয়ে জায়গা পাবে না।) কুরআন তিন ব্যক্তি পাঠ করে; মু’মিন, মুনাফিক ও ফাজের।” বর্ণনাকারী বাশীর বলেন, আমি অলীদকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ওরা তিন ব্যক্তি কে কে?’ তিনি বললেন, ‘মুনাফিক তা অস্বীকার করে, ফাজের তার অসীলায় পেট চালায় এবং মু’মিন তার প্রতি ঈমান রাখে।’
(আহমাদ ১১৩৬০, হাকেম ৩৪১৬, ৮৬৪৩, সিলসিলাহ সহীহাহ ১/২৫৭)
অর্থাৎ একশ্রেণির মুসলমান কুরআন পড়বে কিন্তু তারা কুরআন পড়েও তা অস্বীকার করবে। এটা হতে পারে তাদের কুরআন না বুঝার কারণে বা হতে পারে বুঝেও অনুসরণ না করার কারণে। মোটকথা কুরআন পড়লে অবশ্যই সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে। যারা কুরআন পড়বে কিন্তু সেই অনুযায়ী আমল করবে না তারা অবশ্যই নিফাকে নিমজ্জিত।
ইসলামের ইলম না থাকাঃ
সহিহ বুখারী আচার-ব্যবহার ৬০৬৭ নং হাদীস। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অমুক অমুক ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কিছু জানে বলে আমি ধারণা করি না। রাবী লায়স বর্ণনা করেন যে, লোক দু‘টি মুনাফিক ছিল।
(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৮
এই হাদীসে বলা হচ্ছে দ্বীনের ব্যাপারে কিছু না জানা হচ্ছে মুনাফিকী। অর্থাৎ যে নিজেকে ঈমানদার দাবি করবে তাকে অবশ্যই দ্বীন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। শুধু মুসলিম ঘরে জন্মেছি বলেই মুসলমান হয়ে যাবো ব্যাপারটা কখনোই এমন নয়। মুসলিম হতে হলে কালেমা বুঝে তবেই ঈমান আনতে হবে। শুধু তাইনয় ইসলামের সাধারণ খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানও রাখতে হবে। বিশেষ করে তাওহীদ, শির্ক, বিদআত ইত্যাদি। যা না জানার কারণে ঈমান ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
আল্লাহ ভুলে দুনিয়ামুখী হওয়াঃ
আল্লাহ্ বলেন,
মুনাফিক পুরুষ এবং মুনাফিক নারী, এরা (স্বভাব চরিত্রে) একেঅপরের মতোই। তারা ( উভয়েই মানুষদের) অসৎ কাজের আদেশ দেয় ও সৎকাজ থেকে বিরত রাখে এবং (আল্লাহর পথে খরচ করা থেকে) উভয়েই নিজেদের হাত বন্ধ করে রাখে ; তারা (যেমনি এই দুনিয়ায়) আল্লাহকে ভুলে গেছে, আল্লাহ তাআলাও (তেমনি আখিরাতে) তাদের ভুলে যাবেন ; নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা সবাই পাপিষ্ঠ। (সূরা তাওবা :৬৭)
অর্থাৎ যারাই অসৎ কাজের আদেশ দিয়ে সৎকাজ সমূহ বন্ধের নির্দেশ দেয় সেইসাথে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে না তারা স্পষ্টত মুনাফিক। আর এইজাতীয় মানুষ আমাদের সমাজে অহরহ। একটি শ্রেণী আছে যারা ইসলামের বিভিন্ন দাওয়াতী কার্যক্রম পছন্দ করে না। বরং এইসব বাদ দিয়ে নাচগানে সময় দেয় এবং আয়োজনে নিয়োজিত থাকে তারা হচ্ছে বর্তমানে খুবই খারাপ প্রকৃতির মুনাফিক। অথচ তারা মুখে ঈমানের দাবি করে। তারা কখনোই আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবে তো দূরের কথা, কেউ তা করতে চাইলেও বাঁধা দেয়।
মুনাফিকের পরিনামঃ
যারা মুনাফিক তাদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এসেছে -
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা। [ সুরা তাওবা ৯:৭৩]
অর্থাৎ যারা মুনাফিক তাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। কিন্তু আমাদের সমাজে মুনাফিকরাই বড় বড় পদে বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া তো দূরের কথা, তাদের ছাড়া অনেকেরই চলে না। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দূর্বল হওয়ার কারণে আজ আমাদের সমাজ একধরনের মুনাফিকী সমাজে পরিনত হয়েছে।
আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী, মুশরিক পুরুষ, মুশরিক নারীদেরকে (কুরআনের আমানতের দায়িত্ব অবহেলার জন্য) শাস্তি দিবেন। [ সুরা আহযাব ৩৩:৭৩ ]
আল্লাহ মানুষকে পবিত্র কুরআন আমানত হিসাবে দিয়েছেন। এই আমানতের দায়িত্ব পালনে মুনাফিক মুশরিকরা অবহেলা করেছে। তাই তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। আল্লাহ্ বলেন,
এবং যাতে তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং অংশীবাদী পুরুষ ও অংশীবাদিনী নারীদেরকে শাস্তি দেন, যারা আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষন করে। তাদের জন্য মন্দ পরিনাম। আল্লাহ তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাদেরকে অভিশপ্ত করেছেন। এবং তাহাদের জন্যে জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন। তাদের প্রত্যাবর্তন স্থল অত্যন্ত মন্দ। [ সুরা ফাতাহ ৪৮:৬ ]
এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট যে মুনাফিক মুশরিকদের স্থান হবে জাহান্নাম। যারা আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা তথা শির্ক (যা আল্লাহ করতে পারেন তা বান্দাও পারেন) এবং নিফাকী পোষণ করে। অতএব তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট জাহান্নাম। এই রকম শাস্তির কথা আছে সূরা হাদীদের ১৩ নং আয়াতে।
সর্বোপরি কথা হচ্ছে, ঈমানের দাবি করলে অবশ্যই ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পোষণ করতে হবে। সেইজন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। ইসলামের যত আহকাম আছে তা পরিপূর্ণ পালনে সচেষ্ট হতে হবে। ঈমান এনে আমলের ঘাটতি হওয়া মানেই মুনাফিকীতে রুপান্তর হওয়া। আজ আমাদের সমাজে এমন মানুষের অভাব নেই যাদের এইসব নিফাকী গুণাবলী আছে। আমরা নিজেরাই জানি না যে আমাদের কী কী কর্মকাণ্ডে আমরা মুনাফিক হয়ে যাচ্ছি। সুতরাং আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে যাতে এইসব নিফাকী আমাদের অন্তরে জায়গায় নিতে না পারে। কেননা মুনাফিকের স্থান হবে জাহান্নামে।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
Shakawatul83@gmail.com