পবিত্র " শবেবরাত ", " লাইলাতুল বারায়াত "বা " লাইলাতুন নিস্ফ মিন শাবান " যাই বলিনা কেন এই রাত্রিটি আমাদের উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত্রি। সুদীর্ঘ দিন থেকে আমাদের উপমহাদেশে এই রাত্রি বিশেষ মর্যাদার আসনে রয়েছে। মূলত শাবান মাসের পনেরতম রাত্রিকে শবেবরাত বলা হয়ে থাকে।
আমাদের সমাজে শবেবরাতের বিশ্বাসঃ
১. শবে বরাত মানে ভাগ্য রজনী এই রাতে সবার ভাগ্য নতুন করে লেখা হয়।
২. এই রাতে কুরআন নাজিল হয়েছে।
৩. এই রাতে আল্লাহ সাধারণ ক্ষমা করেন।
৪. এই রাতে বয়স ও রিজিক নির্ধারণ করা হয়।
৫. এই রাতে ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
৬. এই রাত লাইলাতুল কদরের সমমানের।
৭. এই রাত লাইলাতুল কদরের চাইতেও বেশি মর্যাদাবান।
৮. এই রাতে জটা-ঘটা করে কবর জিয়ারত এবং সওয়াবের নিয়তে বিভিন্ন মাজারে মাজারে গিয়ে জিয়ারত করা।
৯. এই রাতে নির্দিষ্ট করে মৃতদের নামে বিশেষভাবে দান-খয়রাত করা।
১০. এই রাতে হালুয়া, রুটি ও মাংস পাকানো এবং তা পড়া প্রতিবেশীদের বিলানো।
১১. এই রাতে আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো, আলোকসজ্জা এবং আনন্দ উৎসবের মতো পটকা ফুটানো।
১২. এই দিনে সন্ধ্যায় গোসল করে নতুন কাপড় পরে সারারাত নামাজ পড়া সেই সাথে অধিক সওয়াবের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মসজিদে গমন করা।
১৩. এই রাতের সকালে দিনে অধিক সওয়াবের আশায় রোজা রাখা।
১৪. এই রাতে বিভিন্ন ধরনের বিদআতী অনুষ্ঠান করা।
১৫. এই রাতে বিধবাদের স্বামীর প্রিয় খাবার পাকিয়ে তার সাথে রুহানী সাক্ষাতের আশা করা।
১৬. গত এক বছরে মৃত মানুষের রুহগুলোর আগের রুহের সাথে জমিনে নেমে আসে।
১৭. এই রাতে সূরা দুখান পাঠকারীর জন্য সারা দিন ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করবে মনে করে তা পাঠ করা। [জাল হাদীস]
১৮. এই রাতে সূরা ইয়াসীন তিনবার পাঠ করা। প্রথমবার বয়স বৃদ্ধির জন্য, দ্বিতীয়বার বালা-মসিবত দূর করার জন্য এবং তৃতীয়বার কোন মানুষেরমুখাপেক্ষীর না হওয়ার জন্য।
১৯. এই রাতে জমজমের পানি অন্যান্য দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পায় ধারণা করা।
২০. এই রাতে শিয়া-রাফেযীদের মিথ্যা কল্পিত ইমাম মাহদীর জন্ম দিবস পালন করা।
২১. মনে করা হয় এই দিনে ওহুদের যুদ্ধে কাফেররা নবী [সা:]-এর দাঁত মোবারক ভেঙ্গে দিয়েছে।
২২. এই দিনে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে হালুয়া রুটি এবং রান্না করে খাবার পাঠানো।
২৩. অধিক সওয়াবের আশায় এই দিনেই বেশি পরিমাণে দান খয়রাত এবং কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা।
২৪) কবরবাসীকে আলোকিত করতে কবরে মোমবাতি আগরবাতি জ্বালানো।
শবেবরাতের নামে সরকারী ভাবে যা করা হয়ঃ
১) সরকারী ছুটি ঘোষণা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে বহুল প্রচার ও প্রসার।
২) সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং অনুষ্ঠান করা।
উপরোক্ত বিষয় গুলোকেই আমরা প্রাধান্য দিয়ে আমরা "শবেবরাত " পালন করি। এটা আমাদের সমাজে বংশপারম্পরিক ভাবে চলে আসছে।
শবেবরাত নিয়ে দালিলিক পর্যালোচনা করে লেখার কলরব বৃদ্ধি করতে চাই না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এই রাত্রির ইবাদতকে ব্যাপক বিশ্লেষণ করে সমর্থন করি। তবে শুধুমাত্র এই এক রাতের ইবাদতকে সমর্থন করতে গিয়ে আমরা কী কী ভুল করছি সেটাই এখন আমরা দেখার চেষ্টা করবো।
শবেবরাতের দালিলিক পর্যালোচনা
প্রথম কথা হচ্ছে, অসংখ্য জাল এবং দুর্বল হাদিসসহ দু একটা সহীহ্ হাদীস পাওয়া যায় এই রাতের ইবাদতকে সমর্থন করে। তবে উপমহাদেশে যা সমর্থন ইবাদত করা হয় তার সবকটিই জাল ও দুর্বল হাদীস।
যে দু একটি হাদীসে এই রাতের ইবাদতার কথা আছে, তার চাইতে অধিকসংখ্যক সহীহ্ এবং প্রসিদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, প্রতিটি রাতই বান্দার কাছে ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিকসংখ্যক সাহাবী থেকে বর্ণিত এইসব প্রসিদ্ধ হাদীস দ্বারা তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।
এখন আমরা যদি শাবান মাসের শবেবরাত এর হাদীস এবং এই প্রসিদ্ধ হাদিসের তুলনা করি তাহলে দেখতে পাই, শবেবরাতের হাদীস দ্বারা বলা হচ্ছে ঐ রাতেই আল্লাহ্ মানুষকে ক্ষমা করেন। সুতরাং ঐ নির্দিষ্ট একদিন ই ইবাদত করো। আর এই প্রসিদ্ধ হাদীসে বলা হচ্ছে আল্লাহ্ প্রতিদিন ই তার বান্দার জন্য শেষ রাতে নিকট আসমানে অপেক্ষা করছেন ক্ষমা এবং বরকত দেওয়ার জন্য।
এখন যিনি সত্যিকারের ঈমানদার তিনি কোনটি করবেন? যার সত্যিই কিছু চাওয়ার আছে, যার ফেনারাশি পরিমাণ গুনাহ আছে। সে কি ঐ একদিন ই আল্লাহর কাছে চাইবে? নাকি প্রতিদিন ই আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিবে?
এখন কথা হচ্ছে যেহেতু হাদীসে আছে সেহেতু আমরা কেন ইবাদত ছেড়ে দিবো? কেউ কাউকে ইবাদত করতে বাঁধা বা নিষেধ করছে না। তবে ইবাদত করতে গিয়ে আমরা যেন এমন কিছু নতুন সৃষ্টি না করি যা আমাদের জান্নাতে নেওয়ার চাইতে জাহান্নামে নিয়ে না যায়।
এখন আমরা দেখবো যেসব উৎসব আমরা এই রাতে করে থাকি তা কতটুকু যুক্তিযুক্তঃ
১) এই রাতের যত ফজিলত রয়েছে তার সবকিছুই হচ্ছে "শবেকদর " এর রাত্রির ফজিলত। কুরআন এবং সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, " শবেকদর " রাতে মানুষের ভাগ্য, হায়াৎ, মউত, রিজিক ইত্যাদি একবছরের জন্য বন্টন করা হয়। এই রাতের ইবাদত বন্দেগী হাজার রাত্রির চেয়েও বেশি সেটা আমরা সবাই জানি। যেকোনো কারণে "শবেকদর "রাতের মর্যাদা কিছু উৎসাহী মানুষের কারণে আজ ছিনতাই হয়ে "শবেবরাত" এর রাতে প্রবেশ করেছে। অতএব এইসব ফজিলত শবেবরাত এর তা কখনোই মনে করা যাবে না।
২) এই রাতের স্পেশাল নামাজ যা প্রচলিত তা ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র এই রাতের ফজিলতের কারণে কবর যিয়ারত করা, দান খয়রাত করা, খানাপিনা খাওয়ানো ইত্যাদি বিদাত। কবর যিয়ারত, দান খয়রাত, খানাপিনা খাওয়ানো যেকোন সময় করলেই সওয়াব। জাল যইফ কোনো হাদীসেই দান খয়রাত খাওয়ানোর কোনো কিছু উল্লেখ নেই।
৩) কবরবাসীর জন্য কবরে মোমবাতি জ্বালানো, আগরবাতি জ্বালানো স্পষ্টত অগ্নিপূজারীর কাজ।বাজি, পটকা ইত্যাদি ফুটানো ইসলাম বিরোধী কাজ। এ থেকে ব্যপক ক্ষতির সম্ভাবনা হয়। তাছাড়া এইসব করা নিশ্চিত ভাবেই অপচয়। অথচ অপচয় ইসলাম সমর্থন করে না।
৪) এই রাতের মাযারে মাযারে গিয়ে দোয়া চাওয়া একধরনের শির্ক। সওয়াবের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মসজিদে গমন করা ভিত্তিহীন। কেননা পৃথিবীতে শুধু তিনটি পবিত্র মসজিদ ছাড়া আর কোথাও সালাত আদায়ে বরকত নেই সেটা আমরা সবাই জানি।
৫) এই দিনে উহুদের যুদ্ধে নবী (সাঃ) এর দাঁত মোবারক শহীদ হওয়ার কারণে সবাই নরম খাবার হালুয়া, রুটি, মাংস খায়। অথচ সীরাতে রাসূলের গ্রন্থসমূহে নবী [সা:]-এর ওহুদের যুদ্ধ ছিল ৩য় হিজরি সালের ১১ শাওয়াল রোজ শনিবার সকালে। এটা কীভাবে শা‘বানের ১৫ তারিখে হবে? তাছাড়া দাঁত ভাঙ্গা রোগীর জন্য হালুয়া উপযুক্ত খাদ্য হলেও রুটি এবং এর সাথে মাংস কি উপযুক্ত? এই ধরনের মনগড়া ভিত্তিহীন রীতি রেওয়াজ কীভাবে বিবেকসম্পন্ন হতে পারে?
৬) আত্মা বা রুহ পৃথিবীতে নেমে আসে এটা হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস। ইসলামে মানুষের রুহ দুনিয়ায় ফিরে আসার কোন দলিল নেই। অতএব মৃতের আত্মা বা রুহ দুনিয়ায় আসে এবং তাদের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হবে এটা শুভবুদ্ধির মুসলিরা একেবারেই চিন্তা করতে পারে না।
৭) সহীহ্ হাদিস এবং কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যে প্রতিরাতে আল্লাহ্ নিকট আসমানে নেমে আসেন তার বান্দাদের ফরিয়াদ শোনার জন্য। যে সত্যিকারের ঈমানদার সে অবশ্যই আল্লাহর সাক্ষাৎ চাইতে প্রতিরাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে। যে এটা করবে তার অটোমেটিক এই রাতের ফজিলত জমা হয়ে যাবে।
৮) এই রাতে সবাই সম্মিলিত ইবাদতে মশগুল থাকে। অথচ কোনো জাল, যইফ হাদীসেও আসেনি যে তখন রাসুল (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে সম্মিলিত কোনো ইবাদত বন্দেগী করেছেন। এমনকি রাসুল (সাঃ) তাঁর স্ত্রীকেও ইবাদতে ডাকেননি! তাহলে আজ আমরা যেভাবে নতুন একটি ইবাদত সৃষ্টি করলাম তার যুক্তিযুক্ততা কতটুকু?
৯) ইসলামী বিধর্মীদের অনুসরণ সম্পূর্ণ হারাম। আজ বাংলাদেশের অনেকেই জানে না এই শবেবরাত ফার্সি তথা ইরান থেকে কীভাবে উপমহাদেশে প্রবেশ করেছে। ইরানের শিয়ারা যখন উপমহাদেশে শাসন এবং সুফীবাদের লেবাসে ধর্ম প্রচার করতে থাকে। তখন থেকেই এখানে এই শবেবরাত এর নামে উৎসব শুরু হয়। শিয়ারা এই দিনটিকে তাদের বারোতম ইমাম "ইমাম মাহাদীর " জন্মদিন হিসেবে পালন করে। সেইসাথে আমাদের পূর্বপুরুষরা সনাতন ধর্মী অগ্নিপূজক ছিলো। তাদের খুশি করতেই সুফীরা হিন্দুদের "দীপাবলি " পূজার মতো "শবেবরাত " এর উৎসব শুরু করে।
১০) আমাদের সমাজে শবেবরাতের সবচেয়ে জঘন্যতম বিদআত হচ্ছে, ঐ দিনে ব্যাপক আয়োজন করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ভালো ভালো রান্না করে পাঠানো। এটা খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে কিছু কিছু এলাকায়। যারফলে যারা নিম্নশ্রেণীর পিতামাতা আছেন, তারা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির আবদার রক্ষা করতে গলায় ফাঁস নেওয়ার অবস্থা। আমাদের উচিত হবে এইসব বিদআতী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা।
এখন কথা হচ্ছে, এটা কারা বেশি বেশি পালন করছে? কোন শ্রেণীর মুসলিমগন এটিকে বিশেষ মর্যাদা দিচ্ছেন? কোন শ্রেণীর আলেমগণ এটিকে সামনে নিয়ে এসে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন? যদি এই কয়েকটি বিষয় একটু ভালো করে বিশ্লেষণ করি তবে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারবো কেন এটা ইসলামে মূল ভিত্তিতে না থেকেও এই উপমহাদেশে এতো প্রসার লাভ করেছে।
খুব সংক্ষেপে যদি বলিঃ
১) এই দিনে তারাই অতিরিক্ত ইবাদতে উৎসাহী হয় যারা সারাবছর ইবাদতের আশেপাশে থাকে না। যাদের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক অনেকটাই ছিন্ন পর্যায়ে চলে গেছে। তারা এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহ্ কে নিজের করতে চায়। যাতে করে আগামী বছর ভালো কাটে।
২) এই দিনে তারাই দান খয়রাত করে যারা সহজে কাউকে কিছু দেয়না। সারাবছর মৃত পিতামাতার খবর নেই। কবর যিয়ারত নেই, মাতাপিতার জন্য সালাত দোয়া নেই। এই একদিন সব করে সারাবছর করার সুযোগ নেয়।
৩) আমরা খুব উৎসব প্রিয় জাতি। অথচ আল্লাহ মানুষকে সবসময় বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্বরণ করতে বলে। যারা সত্যিকারের আল্লাহ বিমুখ তারাই আনন্দ উল্লাস করার জন্য আলোকসজ্জা, বাজি, পটকা ইত্যাদি নিয়ে মেতে উঠে। এটা হিন্দুদের দীপাবলির মুসলিম সংস্করণ। যেহেতু আমাদের পূর্বপুরুষ সনাতন ধর্মীয় ছিলেন, সেহেতু এটা আমাদের জন্য খুবই সহজ হয়েছে ইসলামে প্রবেশ করার
৪) এটা ঐ শ্রেণীর আলেমগণ বেশি প্রচারণা করেন যারা পীরতন্ত্রের সুফিবাদে বিশ্বাসী। তাদের দরবারে হিন্দু মুসলিম উভয় প্রকারের ভক্ত আশেকের সমাগম বেশি। এইসব ভক্ত আশেকের সমাগম বৃদ্ধির নিয়তে এইধরণের সার্বজনীন অনুষ্ঠান তারা সমর্থন করেন। যাতে সবাই আসে কবর যিয়ারত বা সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে। ভক্ত আশেকগণ নযরানা দেন দরবারে। এতে তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হন।
৫) আমরা ভোজনপ্রিয় জাতি। কোনো না কোন উদ্দেশ্যে পেলেই আমরা খেতে মেতে উঠি। তাই এটাও একটা কারণ যে এই রাতের দোহাই দিয়ে হলেও ব্যাপক খানাপিনার আয়োজন হয়।
আমাদের করণীয়ঃ
আমরা উপমহাদেশে এই রাত্রিকে সৌভাগ্য রজনী হিসাবেই জানি এবং মানি। অথচ যারা এই দিবসের পক্ষে যুক্তিতর্ক দেন তারাও জানেন যে, কোনো হাদীস দ্বারাই প্রমাণিত নয় যে এই রাত সৌভাগ্যের রাত। ইসলামের কোথাও নেই এই রাত্রিতে কোনো মানুষের হায়াৎ, মউত, রিজিক, ধন, দৌলত ইত্যাদি বন্টন করা হয়।
সুতরাং আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে যতটুকু পারা যায় আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করা। আমি প্রচলিত "শবেবরাতের " সরাসরি বিরোধীতা করছি না। তবে এটাকেই যদি একমাত্র হিসাবে মেনে নিই, তাহলে আমাদের সারাবছরের রাত্রের ইবাদত করার মানসিকতা থাকবে না। যা একজন বান্দারজ জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া রাত্রের ইবাদত হচ্ছে নফল বা ঐচ্ছিক ইবাদত। নফলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী ইবাদত হচ্ছে ফরজ ইবাদত। নফল ইবাদতের জন্য কোনো জবাবদিহিতা আল্লাহর কাছে করতে হবেনা। কিন্তু ফরজ ইবাদত পালন না করলে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
সুতরাং আসুন আগে চেষ্টা করি ফরজ সালাত প্রতিনিয়ত আদায় করার। সেইসাথে এই রাতে নিজ ঘরে সারারাত ইবাদত করা। নিজ আত্মীয় স্বজনদের কবরে গিয়ে তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করা। আমাদের রোজা রাখার ইচ্ছা থাকলে ১৪,১৫,১৬ শাবান রোজা রাখতে হবে যা সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ্ অবশ্যই আমাদের ক্ষমা এবং রহমত দান করবেন।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
৩ মার্চ, ২০২১
অলংকার, চট্টগ্রাম।