মানুষ সৃষ্টির সাথে শয়তানের সম্পর্ক। শয়তানের কাজই হলো মানুষকে আল্লাহ্ থেকে দূরে রাখা। শয়তান এই কাজ কখনোই নিজে করে না। সে তার দলবদল নিয়ে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং তাকে দিয়ে পাপ করায়। ঠিক একইভাবে সুফিবাদের পীর আউলিয়ারা হচ্ছেন শয়তানের সহযোগী। শয়তান তাদের দ্বারা এমন এমন সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে যা সম্পূর্ণ আল্লাহ্ বিরোধী। আজ আমরা তথ্য উপাত্ত দ্বারা জানার চেষ্টা করবো কীভাবে পীর আউলিয়ারা শয়তানের সহযোগী হয়ে আল্লাহর অলি না হয়ে শয়তানের অলিতে পরিনত হয়েছে।
শয়তান কে?
শয়তান হচ্ছে একজন জ্বীন। যে তার ইবাদতের দ্বারা মালাইকাতে পরিনত হয়। এবং পরবর্তীতে আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করার কারণে তিরস্কৃত এবং কাফিরে পরিনত হয়।
আল্লাহ্ বলেন,
" কিন্তু ইবলীস; সে অহংকার করল এবং অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল "।(সূরাঃ ছোয়াদ, আয়াতঃ ৭৪)
অর্থাৎ আদম আঃকে সিজদা না করার কারণে ইবলীস মালাইকা থেকে শয়তানে পরিনত হয়।
শয়তানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
যখনই ইবলীস মানুষকে সিজদা করার হুকুম অমান্য করে তিরস্কৃত এবং কাফেরে পরিনত হলোঃ তখনই সে আল্লাহ্র কাছে ওয়াদা করে যে, প্রতিটি মানুষকেই সে আল্লাহ্ বিরোধী কাজে নিয়োজিত করে কাফেরে পরিনত করবে।
আল্লাহ্ বলেন,
" সে (শয়তান) বললঃ আপনি আমাকে যেমন উদভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্যে আপনার সরল পথে বসে থাকবো। "(সূরাঃ আল আ'রাফ, আয়াতঃ ১৬)
" আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।" (সূরাঃ আল আ'রাফ, আয়াতঃ ১৭)
অর্থাৎ শয়তানের কাজ হচ্ছে সে মানুষকে পাপী বানিয়ে তার দলে ভিরিয়ে নেওয়া। যাতে অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর অকৃতজ্ঞ হয়।
শয়তানের কাজ ও সুফিবাদঃ
পবিত্র কুরআন হাদিসের আলোকে আমরা শয়তানের অসংখ্য কাজ সম্পর্কে অবগত হই। যা সে মানুষের দ্বারা করিয়ে তাকে আল্লাহর সামনে অপমানিত, লজ্জ্বিত এবং অপরাধী হিসাবে উপস্থাপিত করে। সে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং তার দ্বারা কুকর্ম করিয়ে নেয়।
ঠিক একইভাবে ইসলামের নামে সুফিবাদ এমন একটি মতাদর্শ যার মূল উদ্দেশ্য শয়তানের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ সুফি সুন্নীদের ঈমান আকিদা ইবাদত বন্দেগী সবই শয়তানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের অনুরূপ। যে কাজ শয়তানের করার কথা, সেই কাজ সুফি সুন্নীরা নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে। আজ আমরা কুরআন হাদিসের আলোকে দেখার চেষ্টা করবো কীভাবে সুফিবাদ একটি পথভ্রষ্ট এবং শয়তানী মতবাদ।
শিরকঃ
শিরক হচ্ছে এমন একটি জঘন্য অপরাধ যার কোনো ক্ষমা আখিরাতে হবে না।পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্যই নবী রাসুল প্রেরণ করা হয়েছে। আর মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে তাওহীদের বন্দনা করার জন্য। শিরক হচ্ছে তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত। সুতরাং আল্লাহ্ থেকে মানুষকে দূরে রাখার একমাত্র পথ হলো শিরক করিয়ে মুশরিক বানানো। যা শয়তানের মূল উদ্দেশ্য।
সেই শিরকের উপর ভর করেই সুফিবাদ প্রতিষ্ঠিত। সুফিবাদের মূল আকিদা হলো আল্লাহ্ যা পারেন তা তাদের পীর অলি আউলিয়ারাও পারেন। আল্লাহ্ সরাসরি তাঁর বান্দাদের কিছু প্রদান করেন না। তিনি যা-ই প্রদান করেন না কেন, তা পীর অলি আউলিয়াদের দিয়েই প্রদান করেন। অর্থাৎ মাধ্যম ছাড়া আল্লাহ্ কিছুই প্রদান করেন না। যা একটি সরাসরি শির্কি আকিদা।
শয়তান চায় সে যেমন আল্লাহর অবাধ্য হয়েছে, ঠিক তেমনি মানুষই শিরক করে আল্লাহর অবাধ্য হোক। তাই সে সুফিদের পীর অলি আউলিয়া দ্বারা শিরকের প্রচলন শুরু করে। যার ইতিহাস নুহ আঃ থেকে প্রমাণিত। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
মোটকথা আল্লাহর নিজস্ব গুণাবলী (সন্তান দান, বিপদে উদ্ধার, ধন দৌলত প্রদান, হিদায়াত প্রদান, গুনাহ ক্ষমা করা ইত্যাদিকে) পীর আউলিয়াদের মাঝে ভাগ করে দেওয়ার কারণে সুস্পষ্ট শিরক করছে সুফি সুন্নীরা। সেইসাথে মাজারে বা কবরবাসীর সন্তুষ্টির জন্য মানত করার কারণে যে দান সদকা করা হয় তাও শিরক।
অতএব, যে কাজ শয়তান নুহ আঃ এর আগের যুগে সৃষ্টি করেছিল তা রাসুলুল্লাহ আসার পর বন্ধ হলেও, সুফি সুন্নীরা কবর মাজারে মানত সিজদা দ্বারা সেই শিরককে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এভাবেই সুফি সুন্নীরা সরাসরি শিরকে লিপ্ত হয়ে শয়তানের সহযোগীতে পরিনত হয়েছে। আল্লাহ্ বলেন,
"শয়তান তাদের বশীভূত করে নিয়েছে। অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।" (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১৯)
অর্থাৎ শয়তানের কাজ হচ্ছে, যেকোনো প্রকারে আল্লাহ্ থেকে মানুষকে দূরে সরানো। সেই উদ্দেশ্য সফল করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে পীর মুরিদী গ্রহণ করা। পীর ধরার সাথে সাথে ঐ ব্যক্তির সাথে আল্লাহর সম্পর্ক ছিন্ন হয়। কেননা তখন ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহর বিধান নয় বরং পীর যা বলে তা-ই পালন করতে হয়। এভাবেই পীর ধরার সাথে সাথে মানুষ আল্লাহ্ বিমুখ হয়। যা শয়তানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
প্ররোচনা দেওয়াঃ
শয়তানের মূল কাজ হলো মানুষকে ছলে বলে কৌশলে প্ররোচনা দিয়ে আল্লাহ্ থেকে দূরে সরানো। সেই কাজ খুব সহজে পীর আউলিয়ারা করে যাচ্ছেন শয়তানের সহযোগী হয়ে। আল্লাহ্ বলেন,
"অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল" (সুরা আরাফ, আয়াত : ২১-২১)
"অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?"(সূরাঃ ত্বোয়া-হা, আয়াতঃ ১২০)
শয়তান যেভাবে আদম আঃকে প্ররোচনা দিয়ে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করে আল্লাহর কাছে লজ্জ্বিত করেছিল। সেইভাবে পীর আউলিয়ারাও সাধারণ মানুষদের প্ররোচনা দিয়ে আল্লাহ্ বিমুখ করে।
তারা বলে যেকোনো কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছে নয় পীর অলিদের নিকট চাইতে হবে। তবেই আল্লাহ্ খুশি হয়ে তাদের তা দিবেন। (এমন কোনো ক্ষমতা নেই যে) আল্লাহ্ সরাসরি কাউকে কিছু দিবেন । তাই তিনি পীর আউলিয়াদের মাধ্যমেই যেকোনো কিছু দিয়ে থাকেন। কেউ সরাসরি আল্লাহ্কে ডাকলে তিনি সাড়া দেন না। তাঁকে ডাকতে হলে মাধ্যম দিয়ে তথা পীর আউলিয়ার মাধ্যমে ডাকতে হবে।
উপরোক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সরাসরি শিরক। যা শয়তান মানুষকে দিয়ে করায়। সেই কাজ সুফি সুন্নী অনুসারীরা করে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়।
পথভ্রষ্ট করাঃ
শয়তানের অন্যতম কাজ হলো মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস ও প্রবঞ্চনা দিয়ে পথভ্রষ্ট করা এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত করা।
আল্লাহ্ বলেন,
"আমি (শয়তান) অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব, তাদের নির্দেশ দেব, যার ফলে তারা পশুর কর্ণ ছেদ করবে এবং তাদের নির্দেশ দেব ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।" (সুরা নিসা, আয়াত : ১১৯)
অর্থাৎ শয়তান মানুষকে নানারকম কুকর্মের দিকে ধাবিত করবে। যাতে সে আল্লাহর কাছে নিগৃহীত হয়। আর সেই কাজই করে যাচ্ছে পীর আউলিয়ারা। তারা তাদের ভক্ত মুরিদদের জান্নাতের মিথ্যা আশ্বাস ও দুনিয়াবী সুবিধার লোভ দেখায়।
ইসলামে প্রতিটি বিষয়ে নানারকম বিধিনিষেধ রয়েছে। যা দিয়ে আল্লাহ্ মানুষকে পরীক্ষা করে। কিন্তু সুফিরা কোনো বিধিনিষেধের ধার ধারে না। তাদের কাছে পীর আউলিয়ারা যা বলেন তা - ই তাদের জন্য শরীয়ত। সুতরাং তারা নামে ইসলাম পালন করলেও শরীয়তের কোনো তোয়াক্কা করে না।
যেমনঃ ইসলামে সালাত হচ্ছে ফরজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সুন্নাত। অথচ সুফিবাদে সালাত আদায়ের কোনো প্রয়োজন নেই। অধিকাংশ সুফি পীর আউলিয়ারা নিজেরা সালাতের ধারে কাছে নেই সেখানে মুরিদদের তো কথাই নেই।
শুধু তাইনয় ছেঁড়া ময়লাযুক্ত অপরিষ্কার পোশাকে অথবা পোশাক বিহীন শরীয়ত বিরোধী মানুষও তাদের জন্য আল্লাহর অলি। শয়তানের প্রধান কাজ যেমন মানুষকে কুরআন বিমুখ করে আল্লাহ্ বিরোধী করা। ঠিক তেমনি সুফি সুন্নীদের কাজও কুরআন হাদিসের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মপালন করা।
অর্থাৎ কুরআনে যা বলা হয়েছে তার বিপরীত করাই হচ্ছে পীর আউলিয়াদের কাজ। যা মূলত শয়তানের কাজ। যেমনঃ কুরআনে আল্লাহ্ বলেন, তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত। আর সুফি পীর আউলিয়ারা বলেন আল্লাহ্ আছেন মুমিনের ক্বলবে। আল্লাহ্ বলেন তাঁর আকার আছে তথা হাত পা চক্ষু ইত্যাদি। আর সুফি সুন্নীরা বলে আল্লাহর কোনো আকার নেই তিনি নিরাকার। আল্লাহ্ বলেন তাঁর জ্ঞান ও দর্শন সমগ্র সৃষ্টিজগত জুড়ে। আর সুফিরা দাবি করে আল্লাহ্ সর্বত্র বিরাজমান। আল্লাহ্ বলেন তাঁর সাদৃশ্য কেউ নেই। আর সুফিরা বলে সমগ্র সৃষ্টির ভিতরই আল্লাহ্ রয়েছে। তথা গরু ছাগল হাস মুরগী ইত্যাদি সকলের ভিতরই আল্লাহ্ রয়েছেন।
এভাবেই অসংখ্য বিষয় রয়েছে যা সরাসরি কুরআন হাদিসের বিরোধী। যে শয়তান শপথ করেছিল, মানুষকে আল্লাহ্ থেকে দূরে সরিয়ে দিবে এবং আল্লাহর কাছে লাঞ্চিত করবে। সেই শয়তানের শপথ পূরণ করছে সুফিদের পীর আউলিয়ারা। সুতরাং শয়তানের যে কাজ মানুষকে পথভ্রষ্ট করা, সেই কাজই সুফি পীর আউলিয়ারা করে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়।
ধোঁকা দেওয়াঃ
শয়তানের আরেকটি কাজ হলো মানুষকে ধোঁকা দেওয়া। যেমনঃ শয়তান আদম ও হাওয়া (আ)-কে ধোঁকা দিয়ে বলল, মানুষের পরিণাম হলো মৃত্যু, তবে এ গাছের ফল যে খাবে সে চিরজীবী হবে। আল্লাহ বলেন,
"অতঃপর শয়তান এ ব্যাপারে তাদের পদস্খলন ঘটাল এবং তারা যেখানে ছিল সেখান থেকে তাদেরকে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার প্ররোচনা দ্বারা বহিষ্কৃত করল।" (সুরা বাকারা, আয়াত : ৩৬)
অর্থাৎ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শয়তান আদম আঃকে ধোঁকা দিয়েছিল। সেই একই কাজ পীর আউলিয়ারাও করে যাচ্ছে। তারা দুনিয়ার সুখশান্তি ও আখিরাতে পার হওয়ার লোভ দেখায়। তারা দাবি করে যারা পীর আউলিয়া মানে তাদেরকে তাদের পীরেরা সুপারিশের মাধ্যমে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এককথায় এইসব পীর আউলিয়ারা জান্নাতের ঠিকাদারি নিয়ে বসে আছে।
অথচ আল্লাহ্ বলেন তিনিই একমাত্র সুপারিশকারী। তিনি যাদেরকে যাদের জন্য অনুমতি দিবেন কেবলমাত্র তারাই তাঁর সামনে সুপারিশ করতে পারবে। অর্থাৎ আল্লাহ্ই নির্ধারণ করবেন কার জন্য কারা সুপারিশ করতে পারবে। আর সুফিরা নিজেরাই অগ্রিমভাবে দাবি করছে যে তারা সুপারিশকারী। যা সম্পূর্ণ ভবিষ্যতের একটি খবর। যার কোনো ভিত্তি নেই।
কেননা লক্ষ লক্ষ মুরিদ থেকে কোন কোন মুরিদের জন্য কাকে কাকে সুপারিশ করতে দেওয়া হবে তা আল্লাহ্ ছাড়া কেউ বলতে পারে না। সেই ভবিষ্যতের খবর কীভাবে কথিত আল্লাহর অলিরা আগেই বলে দিচ্ছেন যে, তারা তাদের সকল ভক্ত মুরিদদের জান্নাতে নিয়ে যাবেন! এটা একটা সুস্পষ্ট ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়। যা স্পষ্টতই শয়তানের কাজ ছাড়া কিছুই নয়।
মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশঃ
শয়তানের কাজই হচ্ছে মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজের দিকে ধাবিত করা।
আল্লাহ বলেন,
"অবশ্যই সে (শয়তান) তোমাদের মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। আর যেন তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে এমন কথা বলো যা তোমরা জানো না।" (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৯)
উপরোক্ত আয়াত থেকে এটা প্রমাণিত যে, শয়তানের মতো সুফিরাও মন্দ ও অশ্লীল কাজে মানুষকে নির্দেশ দেয়। যেমনঃ প্রতিটি পীর আউলিয়ার দরবার মাজারে নাচ গানের ভরপুর উৎসব হয়। যেখানে নারী পুরুষ অবাধে নাচ গান করে। যেসব আসরের প্রধান আকর্ষণ থাকে নারী গায়িকা। এইসব অশ্লীল কাজ যা শয়তানের কর্মকান্ড তা সুফিদের অধিকাংশ মাজার কবরে দরবারে চলে প্রতিনিয়ত।
নিজেদের দলভুক্ত করার প্রচেষ্টাঃ
শয়তানের আপ্রাণ চেষ্টা হচ্ছে তার দল ভারী করা। সে চায় যেকোনো উপায়ে মানুষের মধ্য থেকে তার অনুসারী বাড়িয়ে তার দলভুক্ত করা।
আল্লাহ বলেন,
"শয়তান তাদের বশীভূত করে নিয়েছে। অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।" (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১৯)
উপরোক্ত আয়াতের সত্যতা প্রমাণের জন্য শয়তানের মতো সুফিরাও চায় তাদের দল ভারী করতে। তাই তারা বিভিন্ন উপায়ে তাদের ভক্ত মুরিদ বাড়ানোর চেষ্টা করে। বিশেষকরে কুরআন হাদিসের ভুুল ও অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা পূর্বপুরুষদের অনুসরণ এবং অধিকাংশের অনুসরণকে সঠিক বলে প্রমাণিত করে। ফলে কুরআন হাদিসে অজ্ঞ সাধারণ মুসলমান তাদের ফাঁদে পা দিয়ে আমল আকিদা ছাড়া ঈমানহারা হচ্ছে। এভাবেই সুফিরা শয়তানের মতো তাদের দল ভারী করছে প্রতিনিয়ত।
সরল পথ থেকে বিচ্যুত করাঃ
শয়তানের চ্যালেঞ্জই ছিলো সে আল্লাহর সরল পথে বসে মানুষকে সেই সোজা পথ থেকে বিচ্যুত করে আল্লাহ্ বিমুখী করবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেন,
"শয়তান বলল, আপনি আমাকে যেমন উদ্ভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্য আপনার সরল পথে বসে থাকব। অতঃপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের বেশির ভাগকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।" (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৬-১৭)
উপরোক্ত আয়াতের মতো, সুফিরাও সাধারণ মুসলমানদের আল্লাহর সরল সোজা পথ থেকে সরিয়ে তাদের পীর আউলিয়া মুখী করে দিয়েছে। এখন সুফি সুন্নীরা আর আল্লাহর পথে আল্লাহ্কে ডাকে না। তারা যেকোনো বিপদে আপদে প্রয়োজন পূরণে তাদের জীবিত মৃত পীর আউলিয়াদেরই সাহায্য কামনা করে।
যেখানে কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ্ সুস্পষ্ট সরল পথের ঘোষণা দেয় যে, বান্দাদের যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য চাইবে একমাত্র আল্লাহর কাছে। সেখানে শয়তানের দোসর সুফিরা শিক্ষা দেয়, যেকোনো প্রয়োজনে চাইবে তাদের জীবিত মৃত পীর আউলিয়াদের কাছে। আল্লাহ্কে না ডাকার জন্য শয়তানের যে মিশন, সেই মিশনই সম্পূর্ণ করছে সুফি সুন্নীরা।
শয়তান যেমন ঘোষণা দিয়েছিল আল্লাহর সরল পথে বসে মানুষদের বিভ্রান্ত এবং পথভ্রষ্ট করবে। ঠিক সেই কাজই করে যাচ্ছে সুফিরা সুন্নীরা পথে ঘাটে চৌরাস্তার মোড়ে বিভিন্ন বুজুর্গের কবরকে মাজারে রূপান্তর করে। এখন সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে আর আল্লাহর স্বরণ করে না। পথে ঘাটে মাজারে মানত করে কবরবাসী থেকে সাহায্য কামনা করে। আর এভাবেই শয়তান সার্থক হয়।
পাপকে সুশোভিত করাঃ
মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে শয়তানের অন্যতম কৌশল হলো, পাপকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা। আল্লাহ্ বলেন,
"সে (ইবলিস) বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। আপনার মনোনীত বান্দারা ছাড়া (তাদের কোনো ক্ষতি আমি করতে পারব না)।" (সুরা হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০)
আল্লাহ্ পাপকে পাপ পূণ্যকে ভালো মনে করার জন্য নবী রাসুল আসমানী কিতাব ইত্যাদি দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আর শয়তানের কাজ হলো সেই পাপকে মানুষের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করবে, যাতে সে এটাকে পাপ বলে মনে না করে।
ঠিক একই কাজই করে যাচ্ছে সুফি সুন্নীরা। তারা তাদের অনুসারীদের আল্লাহ্ বিমুখ করে তাদের পীর আউলিয়া মুখী করছে। তারা বলে, যারা আল্লাহর অলি তারা আল্লাহর খাস বান্দা। আর আমরা আল্লাহর গুনাহগার বান্দা। আমরা যেহেতু গুনাহগার তাই আল্লাহ্ আমাদের কথা শুনবেন না। সুতরাং আমাদের কিছু চাইতে হলে ঐ আল্লাহর অলিকে বলতে হবে বা চাইতে হবে। তিনিই আল্লাহর কাছে আমাদের ফরিয়াদ পৌঁছে দিবেন। আর আল্লাহ্ এভাবেই তাঁর বান্দাদের সাহায্য করেন!
এই কথাগুলো শুনতে খুবই চমৎকার এবং মনে হবে আসলেই তো যৌক্তিক। অথচ তা কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কথা। কিন্তু মানুষ কুরআন না জানার কারণে এবং আল্লাহ্ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে সুফিদের এইসব মিষ্টি কথায় গলে যায় এবং ঈমানহারা হয়।
শুধু তাইনয় সুফিরা ইসলামের নামে এমন এমন ইবাদত চালু করেছে যা সুস্পষ্ট বিদআত। এইসব ইবাদত দেখতে শুনতে খুবই চমৎকার। অথচ এইসব ইবাদত রাসুলুল্লাহ কখনোই করেননি শিক্ষাও দেননি। যেমনঃ কবরে সিজদা, সামা সঙ্গীত, চারদিনা, চল্লিশা, কুলখানি, কবরবাসীর কাছে মানত, করবকে মাজারে রূপান্তর, রাসুলকে সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন সালাত কিয়াম, মিলাদুন্নবী, সওয়াবের উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারত ইত্যাদি সহ আরও অসংখ্য আচার অনুষ্ঠান যা দেখতে এবং পালন করতে খুবই চমৎকার। কিন্তু তা কুরআন সুন্নাহ দ্বারা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং শয়তানের দায়িত্ব যে কাজ করার, সেই কাজই এখন করে যাচ্ছে সুফি সুন্নীরা।
ইবাদতে বাঁধা সৃষ্টি করাঃ
শয়তানের প্রধান কাজ হলো মানুষকে আল্লাহর ইবাদতে বাঁধা সৃষ্টি করে তাকে আল্লাহর সামনে অপমানিত করা এবং পূণ্য থেকে বঞ্চিত করা। যা অসংখ্য সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। ঠিক একইভাবে সুফি সুন্নীরাও আল্লাহর সঠিক ইবাদত থেকে সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে তাদের দিকে আকৃষ্ট করে।
যেমনঃ সিজদা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। সেই সিজদা তারা আল্লাহ্কে না করে পীর আউলিয়াদের করতে বাধ্য করছে। পশু কুরবানী শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। সেই পশু কুরবানী এখন পীর আউলিয়াদের সন্তুষ্টির জন্য করা হচ্ছে মানতের নামে। পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা ইবাদত। সেই কাবাকে তাওয়াফ না করে পীর আউলিয়াদের কবর খানকাকে তাওয়াফ করার শিক্ষা দিচ্ছে সুফিরা। প্রতিদিন সালাত আদায় করা ফরজ। সেই সালাত আদায় না করার জন্য তারা বলে ইয়াকীন এসে গেলে কোনো ইবাদত নেই। শুধু তাইনয়, তারা প্রচার করে, "লেংটা বাবার মুরিদ হলে নামাজ রোজা লাগে না"
এভাবেই সুফিরা ইসলামের অসংখ্য ইবাদতকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাদের মতো করে বিভিন্ন ইবাদত করে। যা দ্বারা তারা ইসলামের সহীহ্ শুদ্ধ ইবাদত থেকে মানুষকে শয়তানের মতো বাঁধা ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
প্রভাব বিস্তার করাঃ
শয়তান মানুষের উপর বিভিন্ন কলাকৌশলে স্বীয় প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করে নানাভাবে প্রভাবিত করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন,
" নিশ্চয়ই আদম সন্তানের ওপর শয়তানের একটি প্রভাব রয়েছে। অনুরূপ ফেরেশতারও একটি প্রভাব রয়েছে।" (সুনানে তিরমিজী)
আল্লাহ্ বলেন,
"শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়।" (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২৬৮)
শয়তান যেমন বিভিন্ন কলাকৌশলে মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ঠিক একইভাবে সুফিরাও দাবি করে আমল না করেও শুধুমাত্র পীর আউলিয়াদের আনুগত্য করলেই জান্নাতে যাওয়া যাবে। যারফলে অধিকাংশ মানুষ সঠিক ঈমান আকিদা ভুলে শয়তানী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যা প্রকৃতার্থে শয়তানেরই কাজ।
মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশঃ
শয়তান মানুষের সামনে অশ্লীল ও খারাপ জিনিসকে আকর্ষণীয় ও উত্তম হিসেবে পেশ করে।
আল্লাহ বলেন,
"অবশ্যই সে (শয়তান) তোমাদের মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। আর যেন তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে এমন কথা বলো যা তোমরা জানো না।" (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৯)
ঠিক একইভাবে সুফি সুন্নীরাও তাদের অনুসারীদের মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়। যা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। তারা বিভিন্ন মাজারে দরবারে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে নাচ গানের আয়োজন করে। বিভিন্ন বিদআতী জিকির আজকারের নামে মদ গাঁজা ইত্যাদি সেবনের আসর বসায়। তাদের অসংখ্য সম্প্রদায় রয়েছে, যেখানে তারা নারী পুরুষদের একত্রে অবাধে আল্লাহর আরাধনায় লিপ্ত হয়। যা সম্পূর্ণ হারাম। এভাবেই সুফিরা শয়তানের সহযোগী হয়ে শয়তানের অলি বা বন্ধুতে রূপান্তরিত হয়ে শয়তানের কর্মকান্ডকেই ব্যাপকভাবে বিস্তার করছে।
অপচয়কারীঃ
আল্লাহ্ অপচয় করা পছন্দ করেন না। আল্লাহ্ বলেন,
"নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ"। (সূরাঃ বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ২৭)
শয়তানের মতো সুফিরাও হচ্ছে শয়তানের সহযোগী। তারা তাদের অনুসারীদের বিপদে, প্রয়োজনে কবরবাসীর নামে টাকাপয়সা পশু ইত্যাদি দ্বারা মানত করতে উৎসাহিত করে। অথচ মানত করতে রাসুলুল্লাহ সরাসরি নিষেধ করেছেন। কেননা দোয়া এবং সৎকর্ম ছাড়া কোনো কিছুই তাকদীর পরিবর্তন করতে পারে না। এইসব মানতের টাকা পয়সা কখনোই কারো উপকারে আসে না শুধুমাত্র কবরবাসীর ওয়ারিশদের ভরণপোষন ছাড়া। সুতরাং এইসব মানত একদিকে যেমন শিরক বিদআত। অন্যদিকে হচ্ছে অপচয়।
তাবিজ দ্বারা কুফুরিঃ
তাবিজ কবজ দ্বারা কুফুরি করা হচ্ছে শয়তানের কাজ।
আল্লাহ্ বলেন,
"সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত।" (সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১০২)
এই তাবিজ কবজই সুফিদের আলেম ওলামা পীর মাশায়েকদের প্রধান আয়ের উৎস। তারা তাবিজকে জায়েজ করে সুফি সুন্নী সমাজে এর ব্যাপক প্রচলন করছে। যে কাজ সুস্পষ্ট হারাম সেই কাজকে সুফি সুন্নীরা করে যাচ্ছে অবলীলায় শয়তানের বন্ধু হয়ে।
আল্লাহ্ বিমুখে শয়তান নিয়োগঃ
আল্লাহর যেসব বান্দা তাঁর স্বরণ করে না, আল্লাহ্ নিজেই তার জন্য একজন শয়তান নিয়োগ করে দেন। আল্লাহ্ বলেন,
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। (সূরাঃ যুখরুফ, আয়াতঃ ৩৬)
ঠিক একইভাবে, সুফি সুন্নীদের কাজ হচ্ছে তাদের অনুসারীদের যাবতীয় আল্লাহর স্বরণ থেকে দূরে রাখা। সেইসাথে তাদের দৃষ্টি পীর আউলিয়ামুখী করা। এভাবেই তারা তাদের অনুসারীদের কাছে শয়তানে রূপান্তরিত হয়।
সৎপথে বাঁধা প্রদানঃ
শয়তানের প্রধান কাজই হচ্ছে আল্লাহর সৎপথে মানুষকে বাঁধা দেওয়া। যাতে সে সৎকর্ম করতে না পারে।
আল্লাহ্ বলেন,
"শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে"। (সূরাঃ যুখরুফ, আয়াতঃ ৩৭)
শয়তানের মতো সুফি সুন্নীরাও মানুষকে আল্লাহর পথে এমনভাবে বাঁধা দেয়, যেন তারা যা করছে তা ভুল। আর তাদের কথিত পীর আউলিয়ারা যা করেছে করতে বলেছে তা ই সঠিক। এভাবেই সুফিরা আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে তাদের পীর আউলিয়াদের জন্য সিজদা, সালাত, তাওয়াফ, কুরবানী, মানত, দান সদকা ইত্যাদি করে শয়তানের অলিতে পরিনত হয়েছে।
ঈমানহারা করাঃ
একজন মানুষের প্রধান কাজই হলো আল্লাহর উপর ঈমান আনা। আর শয়তানের প্রধান কাজ হলো মানুষকে ঈমানহারা করা। আল্লাহ্ বলেন,
"এবং যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে না, ঈমান আনে না কেয়ামত দিবসের প্রতি এবং শয়তান যার সাথী হয় সে হল নিকৃষ্টতর সাথী।" (সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ৩৮)
সুতরাং যারা শয়তানের সাথী হয় তারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে না। ঠিক একইভাবে সুফিরা আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন সব আকিদা পোষণ করে যা তাদের ঈমানহারা করে সরাসরি ইসলাম থেকে বের করে দেয়। সেইসাথে ভয়াবহ কিয়ামতের দিনকে তারা এতো সহজে পার হওয়ার ধারণা দেয় যে, যেন কিয়ামত সেটা ছেলের হাতের মোয়া।
আল্লাহ্ যেখানে কুরআনে বলেন, ঐদিন কেউ কারো কাজে আসবে না, কোন ভাইবোন আত্মীয়স্বজন কেউ কারো উপকার করতে পারবে না। কোনো কিছুর দামে কোনো কিছুই বেচাকেনা হবেনা ইত্যাদি। সেখানে শুধুমাত্র পীর আলি আউলিয়াদের মুরিদ হলেই কোনো আমল ছাড়াই সেই অলি আউলিয়ারা সুপারিশের মাধ্যমে তাদের জান্নাতে নিয়ে যাবেন। অথচ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো জন্য কেউ সুপারিশও করতে পারবে না।
সুতরাং যারা প্রকৃত ঈমানদার না হয়ে সুপারিশের বিশ্বাসে সুফিদের অনুসারী হয়। তারা মূলত আল্লাহ্ এবং আখিরাতে অবিশ্বাসী। এভাবেই সুফিরা শয়তানের বন্ধু হয়ে শয়তানের যাবতীয় কাজের আনজাম দিয়ে যাচ্ছে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, শয়তান যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ করেছিল। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে সাহায্য সহযোগিতা করছে সুফি সুন্নীদের সুফিবাদ। মোটকথা শয়তানের যাবতীয় কুকর্ম গুলো গুরুত্ব সহকারে পালন করছে সুফি সুন্নি পীর আউলিয়ারা। আর এভাবেই সুফিদের পীর আউলিয়ারা আল্লাহর অলির পরিবর্তে শয়তানের অলিতে পরিনত হয়েছে।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।