সাহাবী বিদ্বেসীঃ
সুফিরা দাবি করে তাদের গুরু হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তাঁর থেকে পীরগিরি পেয়েছেন হযরত আলী রাঃ। তাঁর থেকে পেয়েছেন হাসান হোসাইন রাঃ এভাবে তাদের বিভিন্ন পীর অলি আউলিয়াদের সিলসিলা পর্যন্ত এসেছে ।
তাদের দাবি অনুযায়ী রাসুলের পরবর্তীতে পীর হওয়ার কথা হযরত আবু বকর রাঃ। এরপরে উমর ওসমান রাঃ। তারপরেই আসার কথা হযরত আলী রাঃর পালা। কিন্তু তা না হয়ে ইসলামী প্রথম তিন খলিফা পীর না হয়ে কেন চতুর্থ খলিফা আলীঃ তাদের পীর হলেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তাদের দাবি রাসুলুল্লাহ সাঃ আলী রাঃকেই খিলাফত দিয়েছিলেন। কিন্তু আবুবকর ওমর ওসমান রাঃ প্রতারণা করে আলী রাঃকে খিলাফত দেয়নি। কতবড় জঘন্য কথা সাহাবীদের নিয়ে! এই প্রশ্নের সামনে তাদের আসল চেহারা ফুটে উঠে।
সুফিরা দাবি করে বড় বড় সাহাবীগণ মিলে আলী রাঃকে ক্ষমতা দেয়নি। এইক্ষেত্রে তারা শিয়াদের আকিদা অনুসরণ করে। তবে যারা সুফিবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতে রূপান্তরিত করেছে, তারা এইসব সাহাবী বিদ্বেস থেকে দূরে থাকে।
এই প্রাতিষ্ঠানিক সুফিবাদীরা দাবি করে আবুবকর ওমর ওসমান রাষ্ট্রীয় খিলাফতের অধিকারী। আর আলী হলেন বেলায়েতের খিলাফাতের অধিকারী। দেখুন তাদের ভন্ডামীর নমুনা! সুফিরা পীর মুরিদী জায়েজ করে বাইয়াত খিলাফত ইত্যাদির দাবি করে। অথচ তারা নিজেরাই খিলাফত এবং বাইয়াতকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে।
তারা হযরত হাসান হোসাইন রাঃকে বেলায়েতের অধিকারী মানে। অথচ তারা জীবন দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় সত্য খিলাফত তথা রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের পদমর্যাদার জন্য। আর সুফিরা যে বাইয়াত খিলাফত প্রদান করেন তা হচ্ছে পীর মুরিদী করার জন্য। এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে জানা সবার জন্য আবশ্যক।
কেননা অতীতে কুরআন হাদীস না জানার কারণে মানুষ সুফিবাদে গোমরাহী হয়েছিল। আর বর্তমানের মুসলমানগণ কুরআন হাদীস জানার পরও বড় বড় বুজুর্গ হুজুরের কথায় সত্যকে মাটি দিয়ে দুনিয়াবী শয়তানীকে আঁকড়ে ধরেছে।
কৃতজ্ঞতাঃ
মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা)
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
১০ মার্চ, ২০২২
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।