সুফি সুন্নীরা ইসলামের শরিয়ত সম্পর্কে এমন এমন সব আকিদা পোষণ করে যা কখনোই ইসলাম স্বীকৃত নয়। এইসব ভ্রান্ত আকিদা সমূহ এমন যে, তা একজন ঈমানদারকে মুশরিকে পরিনত করে ঈমান হারা করে দেয়। এখন আমরা কুরআন এবং সহীহ্ হাদিসের আলোকে সুফি সুন্নীদের কুরআন সম্পর্কিত আকিদার জবাব পাওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
কুরআন হাদিসের জ্ঞানার্জনে নিষেধাজ্ঞাঃ
সুফিবাদের ভিত্তি কখনোই কুরআন হাদীস ছিলো না। তাদের আকিদা সমূহ বরাবরই কুরআন হাদীস বিরোধী। কেননা তাদের আকিদা গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন গোত্রের রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে বা আশ্রয় করে। যা আমরা সুফিবাদের উৎস সম্পর্কে জানলে পরিষ্কার বুঝতে পারবো।
সুফিদের আকিদা কুরআন হাদিসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায়, তারা সাধারণ অনুসারীদের কুরআন এবং হাদিসের জ্ঞানার্জনের বিরোধীতা করে। সাধারণ মানুষ কুরআন হাদীস পড়ে কিছু শিখুক তা তারা কখনোই চায় না। কেননা কুরআন হাদিসের বর্ণনা এবং ব্যাখ্যা খুবই সহজ। এগুলো পড়লে যেকেউ সহজে বুঝতে পারবে সুফিদের প্রতারণার ধরণ।
যারফলে আল্লাহ্ কাউকে সঠিক জ্ঞান দিলে সে অবশ্যই সুফিবাদ থেকে ফিরে আসবে। সেইসাথে সুফিবাদীদের ব্যবসাও মারা যাবে। কারণ সাধারণ মানুষের অধিকাংশই হচ্ছে জ্ঞানহীন, অলস, আরামপ্রিয় এবং সর্বোপরি সুবিধাবাদী। কষ্ট কম করে যদি কিছু পেয়ে যায় তাহলে কি কেউ কষ্ট বেশী করবে?
সাধারণ মুসলমানদের এই মন-মানসিকতাকেই কাজে লাগিয়ে সুফিরা তাদের সুফিবাদ প্রচার করছে। যদি কেউ কুরআন এবং হাদিসের জ্ঞানার্জন করে তাদের গোমর ফাঁস করে দেয় তাহলে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমে যাবে। তাই সাধারণ মুসলমানরা যাতে ইসলামের সঠিক জ্ঞান না পায় বা না জানে তার জন্য তারা কুরআন হাদিসের জ্ঞানার্জনকে নিরুৎসাহিত করে।
তাদের নিরুৎসাহিত বা নিষেধাজ্ঞার ধরণ হলোঃ- তারা এটা প্রচার করে যে, যদি কেউ আলেম ছাড়া নিজে নিজে কুরআন হাদিস বুঝতে চায় তাহলে তারা গোমরাহ হয়ে যাবে। তাদের দাবি আরবি কুরআনের অনেক অর্থ হয়। যদি কেউ নিজের ভাষায় কুরআন পড়তে চায় বা জানতে চায় তাহলে সে ভুলভাল জ্ঞান অর্জন করবে। যে জ্ঞান সঠিক হবেনা এবং সে গোমরাহী হয়ে যাবে।
তাদের উপরোক্ত দাবি যে কত বড় মিথ্যা এবং জালিয়াতি, তা পবিত্র কুরআনের সহজ আয়াত পড়লেই যেকেউ অশিক্ষিত হলেও বুঝতে পারবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ নিজেই মানুষকে বার বার ডাক দিয়ে বলছেন, তারা যেন কুরআন পড়ে এবং বুঝার চেষ্টা করে।
মহান আল্লাহ্ বলেন,
" তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দার প্রতি সুস্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেন, তোমাদের অন্ধকার থেকে আলোকে আনার জন্য। আল্লাহ তো তোমাদের প্রতি করুণাময়, পরম দয়ালু।" (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ৯)
" এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন।" (সূরাঃ হাজ্জ্ব, আয়াতঃ ১৬) "
উপরের দুটি আয়াতে আল্লাহ্ ঘোষণা দিচ্ছেন, তিনি সুস্পষ্টভাবে কুরআন নাযিল করেছেন যাতে মানুষেরা হিদায়াত প্রাপ্ত হতে পারে। যে হিদায়াত পাওয়ার পর তারা অন্ধকার থেকে তথা আল্লাহর আক্রোশ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আলোর দিকে তথা আল্লাহর রহমত এবং জান্নাতের দিকে ফিরে আসতে পারে। আর এই কুরআনই হচ্ছে মানুষের হিদায়েতের প্রধান একটি মাধ্যম।
আল্লাহ্ আরো বলেন,
" আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ না? " (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০)
" আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? " (সূরাঃ আল ক্বামার, আয়াতঃ ১৭)
এই দুই আয়াতে আল্লাহ্ বলছেন, তিনি কুরআন দিয়েছেন মানুষকে উপদেশ গ্রহণের জন্য। অর্থাৎ এই কুরআনে আল্লাহ্ আমাদের জন্য বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছেন। যা আমাদের জানতে হবে এবং মানতে হবে। যেখানে আল্লাহ্ বলছেন কুরআনের উপদেশ আমাদের মানতে হবে জানতে হবে। সেখানে অবশ্যই আমাদের কুরআন পড়া এবং জানা উচিত।
কিন্তু কুরআন যদি কঠিন হয় বা আরবি হওয়ার কারণে যদি আমরা সহজে বুঝতে না পারি, তা হলে আমরা সাধারণ বান্দারা যাদের অধিকাংশই অল্প জ্ঞানের অধিকারী; তারা আল্লাহর এই উপদেশ কীভাবে গ্রহণ করবো?
এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ্ জবাব দিচ্ছেন পরের আয়াতে, তিনি বুঝার জন্য কুরআনকে সহজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহ্ খুবই সহজ ভাষায় সহজ করেই পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন। যাতে সাধারণ মানুষ অতি সহজেই কুরআন থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আর তাই তো আল্লাহ্ বলছেন, কোনো চিন্তাশীল আছো কি? অর্থাৎ কুরআনকে নিয়ে চিন্তা করার জন্য কেউ আছো কি ? যদি থেকে থাকো তাহলে তোমরা চিন্তা করো ভেবে দেখো আল্লাহ্ কুরআনে কী কী উপদেশ দিয়েছেন।
শুধু তাইনয় আল্লাহ্ বলছেন তোমরা কেন কুরআন নিয়ে গবেষণা করো না। কেন তোমরা কুরআনের আদেশ নির্দেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা করো না। তোমাদের অন্তর কি তালা দেওয়া?
আল্লাহ্ বলেন,
" তবে কি তারা কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা বদ্ধ রয়েছে?” (সূরা মুহাম্মদ-২৪)
অতএব আল্লাহ্ নিজেই যখন কুরআন জানার জন্য পড়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন সেখানে সুফিরা নিষেধাজ্ঞা আর নিরুৎসাহিত করে কুরআন পড়া এবং জানার জন্য। আর আল্লাহ্ আমাদের অনুসরণ করতে বলছেন কুরআনের। কিন্তু আমরা অনুসরণ করছি পীর আউলিয়াদের! অথচ আল্লাহ্ তাঁর রাসুল সাঃকে লক্ষ্য করে বলছেন,
"(হে নবী মুহাম্মাদ!) তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যে ওহী আসে তুমি সেটারই অনুগত্য-অনুসরণ করে চলো। "[সূরা আনআম ১০৬]
আল্লাহ্ যেখানে রাসুলকে সুস্পষ্ট করে বলছেন যে, কুরআনের উপদেশ অনুযায়ী অনুসরণ এবং আনুগত্য করতে, সেখানে সুফিগণ কীভাবে দাবি করে তাদের পীর আউলিয়াদের আনুগত্য আর অনুসরণ করতে হবে ?
সুফিবাদীরা ভালো করেই জানে সাধারণ মুসলমান যদি কুরআনের সত্য জেনে যায় তাহলে তাদের প্রতারণা ধরা খেয়ে যাবে। তাই তারা বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সাধারণ মুসলমানদের কুরআন হাদীস থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে । যা এখনো এই উপমহাদেশে চলছে।
যেকোনো সাধারণ মুসলমানকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কি জানেন কুরআনে কী আছে? তার সহজ সরল উত্তর হবে জানি না। যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কেন কুরআন জানার জন্য পড়েন না? তাহলে উত্তর পাওয়া যাবে, কুরআন নিজে নিজে পড়ে বুঝা যাবে না। কুরআন বুঝতে হলে আলেমের কাছে যেতে হবে। তা না হলে আমরা গোমরাহ হয়ে যাবো! এই হচ্ছে সুফিদের অনুসারীদের বক্তব্য।
কুরআন হাদীস অস্বীকারকারীঃ
সুফিদের আকিদা যেহেতু কুরআন হাদীস বিরোধী, সেহেতু তাদের অধিকাংশ গোষ্ঠী সরাসরি কুরআন হাদীস অস্বীকারকারী। তাদের অধিকাংশ গোষ্ঠীর দাবি পবিত্র কুরআনের ত্রিশপারা সাধারণ মুসলমানদের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু কুরআনের আরো ৬০ পারা তাদের পীর আউলিয়াদের সীনায় রয়েছে। ঐ ৬০ পারার জ্ঞান তাদের পীর আউলিয়ারা তাদের ভক্ত মুরিদের সীনা বী সীনায় রুহানি ফয়েজের তাওয়াজ্জুর মাধ্যমে দিয়ে থাকে।
তাদের দাবি হচ্ছে ত্রিশপারা কুরআন হচ্ছে হাদাল। আর জালিকাল কুরআন হচ্ছে সেই কুরআন যা লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত। সেই সংরক্ষিত কিতাব সুফিদের পীর আউলিয়ারা অন্তদৃষ্টির মাধ্যমে জানতে পারে এবং তার জ্ঞানও বিতরন করতে পারে। সে কারণে প্রকাশ্য কুরআনের কোনো দলিল তারা মানতে চায় না।
অথচ আল্লাহ্ বলেন,
" নিশ্চয় আমিই কুরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।"[আল হিজর ১৫:৯]
অর্থাৎ পবিত্র কুরআন একমাত্র আল্লাহ্ই নাযিল করেছেন এবং তিনিই এর সংরক্ষক। অতএব আল্লাহ্ যে সম্পূর্ণ কুরআন পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সেই কুরআন কিয়ামতের আগ পর্যন্ত পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংকোচন কোনো কিছুই কেউ করতে পারবে না। কেননা আল্লাহ্ নিজেই এর সংরক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছেন। শুধু তাইনয়, আল্লাহ্ তাঁর রাসুলকে সম্বোধন করে বলেন,
" হে রসূল, পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা (অর্থাৎ কুরআন, সুন্নাহ) অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম (কুরআন, সুন্নাহ) কিছুই পৌছালেন না। (সূরাঃ আল মায়িদাহ, আয়াতঃ ৬৭)
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ্ খুবই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ আল্লাহ্ প্রদত্ত সকল বিষয় (কুরআন, সুন্নাহ) তাঁর উম্মতদের পৌঁছে না দেন তাহলে তিনি তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব কিছুই পালন করলেন না। তাহলে রাসুল যদি ৩০ পারা সকলের কাছে প্রকাশ করলেন, আর বাকি ৬০ পারা গোপন করে যেতেন। কিংবা সকলকে না জানিয়ে তাঁর পছন্দের (আলী রাঃ কে শিয়া ও সুফি মতে) কাউকে দিয়ে যেতেন তাহলে কি তাঁর দায়িত্ব পালনে সৎ থাকবেন (নাঊজুবিল্লাহ)।
আর যদি রাসুল নিজেই নিজ থেকে কিছু এই কুরআনে সংযোজন বিয়োজন ইত্যাদি করে থাকেন। অথবা কিছু প্রকাশ করলেন, কিছু গোপনে কাউকে জানিয়ে সেখানে কম বেশী করে আলাদা রাখেন। তাহলে আল্লাহ্ নিজেই তাঁকে ধ্বংস করে দিবেন। আল্লাহ্ বলেন,
" এটা (পবিত্র কুরআন) বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ। নবী যদি কোন কথা নিজে রচনা করে আমার (আল্লাহ্) নামে চালিয়ে দিত,(তাহলে) আমি অবশ্যই তার ডান হাত ধরে তাকে পাকড়াও করতাম, তারপর অবশ্যই কেটে দিতাম তার হৃৎপিন্ডের শিরা, অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, (আমার গোস্বা থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য) বাধা সৃষ্টি করতে পারে।" (সূরাঃ আল হাক্বক্বাহ, আয়াতঃ ৪৩-৪৭)
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে রাসুল সাঃ নিজ থেকে কোনো কিছুই কুরআনে সংযোজন বিয়োজন করেননি। যদি করতেন তিনি অবশ্যই্ আল্লাহ্র রোষানলে পড়তেন। অতএব রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পবিত্র কুরআন কোনোভাবেই বিকৃত হয়নি।
সেইসাথে রাসুলুল্লাহ সাঃ কাউকে গোপনে অন্য কোনো কুরআনের শিক্ষাও দিয়ে যাননি। যদি তিনি কুরআনের কিছু প্রকাশ্যে আর কিছু অপ্রকাশ্যে দিয়ে যেতেন তাহলে আল্লাহ্ তাঁকে সাথে সাথেই ধ্বংস করে দিতেন। আর এটা আল্লাহ্রই কথা এবং ওয়াদা। সুতরাং রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা তখন যেমন ছিলো না। আর এখন হওয়ার প্রশ্নই আসে না। যেহেতু কুরআন সংরক্ষনের দায়িত্ব আল্লাহ্র।
একইভাবে সুফিরা কুরআনের মতো হাদীস মানার ক্ষেত্রেও তারা প্রসিদ্ধ কোনো হাদীস গ্রন্থের রেফারেন্স স্বীকার করে না। তাদের দাবি ঐসব হাদীস গ্রন্থ যারা সংকলন করেছে তারা রাসুলুল্লাহ জীবদ্দশায় ছিলেন না। তারা যেসব হাদীস সংকলন করেছে তা মানুষের মুখে মুখে সংরক্ষিত ছিলো। যারা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকে শুনে শুনে মুখস্ত রেখেছিল। সুতরাং তাদের সংরক্ষিত হাদীস হচ্ছে মৃতদের থেকে। কিন্তু সুফিদের পীর আউলিয়ারা যে জ্ঞান পাচ্ছেন এবং নিচ্ছেন তা হচ্ছে জীবিত মানুষ থেকে। তাই তারা জগৎ প্রসিদ্ধ হাদীসগ্রন্থকে স্বীকার করে না।
সুফি সুন্নীদের যতই হাদিসের দলিল দেখানো হোক না কেন তারা তা মানতে নারাজ। তাদের অনুসারীদেরও তারা এমনভাবে মগজ ধোলাই করে যাতে তারা কুরআন হাদিসের দিকে ফিরে না চায়। যেহেতু সুফিবাদে শরীয়তের হুকুম আহকামের কোনো বাধ্যবাদকতা নেই, সেহেতু সুফিবাদের প্রচার প্রসার দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সেইসাথে তাদের মতবাদও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, পবিত্র কুরআন আল্লাহ্ই নাযিল করেছেন এবং তিনিই কিয়ামত পর্যন্ত এর সংরক্ষণকারী। কুরআন নাযিলের সময় এবং এর পরবর্তীতেও কুরআনে কোনো কিছু সংযোজন বিয়োজন হয়নি। এমনকি রাসুলুল্লাহ সাঃও নিজ থেকে কিছু কম বেশী করেননি। সুতরাং যে কুরআন পৃথিবীতে এখনো বিদ্যমান সেটাই হচ্ছে প্রকৃত কুরআন। এবং এই কুরআনকেই সুফি সুন্নীরা অস্বীকার করে ও পড়তে নিরুৎসাহিত করে। সেইসাথে এই কুরআনকে তারা দলিল হিসাবে মানে না। আর এটাই হচ্ছে সুফি সুন্নীদের গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা ।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
৯ মার্চ,২০২২
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।