আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত শব্দ হচ্ছে "বিদআত"। এই বিদআত কে নিয়ে ইসলামে দুটি শ্রেণী তৈরি হয়েছে। কেউ বলেন বিদআত মানেই খারাপ। কেউ যুক্তি দিয়ে দেখাতে চান বিদআত ভালো মন্দ দুটোই। আসুন দেখি আসলেই কতটুকু ভালো এবং মন্দ।
বিদআতঃ
এই শব্দের অর্থ হচ্ছে নতুন সৃষ্টি বা আবিষ্কার। যা আগে ছিলো না এখন নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। যখন এই শব্দকে ইসলামের সাথে মিলিয়ে বলা হয়। তখন বুঝতে হবে ইসলামের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি হচ্ছে বিদআত। এই পৃথিবীতে প্রতিদিনই নতুন নতুন অনেক কিছুই তৈরি হচ্ছে। তাই বলে এইসব নতুন সৃষ্টিকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিদআত বলার কোনো যুক্তিকতা নেই। কারণ এইসব সৃষ্টি আমাদের ইবাদতের অংশ নয়। বিদআত হচ্ছে ইসলাম ধর্মে ইবাদতের মধ্যে নতুন কোনো পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যা রাসুল (সাঃ) করেননি সাহাবী(রাঃ) গণ করেননি। যা ইসলামী শরীয়তসম্মত নয়। যা সহীহ্ হাদিসের বিরোধী। মোটকথা হচ্ছে ইবাদতের জন্য নতুন কিছু (যেমন মাদ্রাসা, পাকা মসজিদ, ফ্যান ইত্যাদি) যা করা হয়, তা বিদআত নয়। কিন্তু ইবাদতের মধ্যে (যেমন মাগরিবের সালাত তিন রাকাত কেউ চাইল চার রাকাত পড়লো বা ইসলামে সহীহ্ শুদ্ধ ভাবে ঈদ হচ্ছে দুটি, কেউ আরো একটি বাড়িয়ে পালন করল ইত্যাদি) নতুন কিছু উদ্ভাবন করলে তা হবে বিদআত। সুতরাং রাসুল (সাঃ) এবং খোলাফায়ে রাশেদার (রাঃ) এর পরিপন্থী যেকোনো ধর্মীয় কাজ যা ইবাদতের অংশ হিসেবে বিবেচ্য হবে তা ই বিদআত।
বিদআতের প্রকারভেদঃ
ইসলামে নব্য ধারণা সৃষ্টি দুই ধরনের হতে পারে।
১) নতুন বিশ্বাসের ভিত্তিতেঃ
ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে কাদরীয়া, যাহমীয়া, মুতাজিলা, শিয়া ইত্যাদি নতুন নতুন মতবাদ হচ্ছে বিশ্বাসের বিদআত। যা রাসুল (সাঃ) আনীত ধর্ম বিশ্বাসের পরিপন্থী।
২) নতুন ইবাদতের ভিত্তিতে আমলঃ
এমন ইবাদত করা যা আল্লাহ এবং রাসুল(সাঃ)এর স্বীকৃত নয়। এই নতুন ইবাদতের আমল কয়েক প্রকার।
ক) নতুন কোনো ইবাদত আবিষ্কার করা যা রাসুলুল্লাহ(সাঃ) করেননি। যেমন নতুন কোনো সালাত, সিয়াম, বা ঈদে মিলাদুন্নবী। যা আগে ছিলো না এখন(নেকীর আশায়) নতুন করে তৈরি করা হলো।
খ) শরীয়ত সম্মত ইবাদতে নতুন করে হ্রাস বৃদ্ধি করা। যেমন চার রাকাত ফরজ সালাতে এক রাকাত বাড়িয়ে কমিয়ে আদায় করা।
গ) শরীয়ত সম্মত কোনো ইবাদতকে নতুন বিদআতী পদ্ধতিতে পালন করা। যেমন ইসলামে যেসব দোয়া জিকির রয়েছে তা দলগতভাবে উচ্চস্বরে পাঠ করা। অথবা জিকিরের নামে নতুন নতুন দোয়া চালু করা। কালেমাকে ভেঙে ভেঙে দলগত ভাবে জিকির করা (যা রাসুল সাঃ এর সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত নয়)। নফল সিয়াম পালন করতে গিয়ে নিজের নফসের উপর অত্যাচার করা। একদিনে কুরআন খতম করা এবং এর জন্য মাইক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
ইসলামে বিদআতের বিধানঃ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুর উদ্ভব ঘটাল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)।
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন আমল করল যাতে আমার কোন নির্দেশনা নেই, তা পরিত্যাজ্য’ (মুসলিম হা/১৭১৮)।
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামদ ও ছালাতের পর বলেন, ‘নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ বাণী হ’ল আল্লাহর কিতাব এবং শ্রেষ্ঠ হেদায়াত হ’ল মুহাম্মাদের হেদায়াত। আর নিকৃষ্টতম কাজ হ’ল দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি এবং প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই হ’ল ভ্রষ্টতা’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১)। আর নাসাঈতে রয়েছে, ‘প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণতি জাহান্নাম’ (নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
ইরবায বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন আমাদের নিয়ে ছালাত আদায় করলেন। আমার পরে তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা সত্বর বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে এবং সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। তাকে কঠিনভাবে ধরবে এবং মাড়ির দাঁত সমূহ দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি হতে দূরে থাকবে। কেননা (দ্বীনের ব্যাপারে) যেকোন নতুন সৃষ্টি হল বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আত হল পথভ্রষ্টতা’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৬৫)।(সংক্ষেপিত)
উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ইসলামে এমন আমল (সওয়াবের উদ্দেশ্যে ইবাদত) করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় যা রাসুল (সাঃ)এবং তাঁর খোলাফায়ে রাশেদ্বীন (রাঃ) করেননি। সুতরাং এমন ইবাদত(বা নেকীর উদ্দেশ্যে আমল) করা যা আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর খোলাফায়ে রাশেদ্বীন করেননি তা স্পষ্টত বিদআত। আর বিদআত মানেই পথভ্রষ্টতা। আর পথভ্রষ্টতা মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যায়।
ইসলাম প্রসারে পদ্ধতি উদ্ভাবনঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে সৎ পথের দিকে আহ্বান করে, তার জন্য সেই পরিমাণ ছওয়াব রয়েছে, যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে। (মুসলিমজ, মিশকাত হা/১৫৮)।(সংক্ষেপিত)
আরেকটি হাদীস দ্বারা বিদআতে হাসানার দলিল দেওয়া হয় তাহলো -
“যে ইসলামে কোন ভাল পদ্ধতি প্রচলন করল সে উহার সওয়াব পাবে এবং সেই পদ্ধতি অনুযায়ী যারা কাজ করবে তাদের সওয়াবও সে পাবে, তাতে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন খারাপ পদ্ধতি প্রবর্তন করবে সে উহার পাপ বহন করবে, এবং যারা সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবে তাদের পাপও সে বহন করবে, তাতে তাদের পাপের কোন কমতি হবে না”। (মুসলিম)
উপরোক্ত হাদিসের দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, কেউ সৎ পথের দিকে আহবান করলে তার নেকী হবে। খারাপ পথে আহবান করলে গুনাহগার হবে। সেই একই কথা হচ্ছে কেউ ইসলামে ভালো পদ্ধতি আবিষ্কার করলো সে তার নেকী পাবে। এটার অর্থ হলো সময়ের সাথে আধুনিক বিশ্বে যে পরিবর্তন হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সাথে ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে আধুনিকতা আনয়ন। আগে মাটির মসজিদ ছিলো, এখন পাকা মসজিদ হলো। আগে কোনো একজনের কাছে মানুষ হাদীসের জ্ঞান নিতো। এখন সেখানে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। আযান এবং ওয়াজ মাহফিলের জন্য মাইক ব্যবহার ইত্যাদি সহ আধুনিক জীবনে মানুষের প্রয়োজনে ইবাদত করার সহযোগী হিসাবে যা করা হচ্ছে তা ই ইসলামে নতুন পদ্ধতি। এই নতুন পদ্ধতি কোনো আমলের জন্য নয়। বরং ইবাদতের জন্য। নেকীর উদ্দেশ্যে যেকোনো আমল যা ইসলাম স্বীকৃত নয় তা ই বিদআত। এই হাদীস দ্বারা নতুন নতুন সুন্দর আমলের দলিল হতে পারে না। যারা বিদআতে হাসানাহর কথা বলে থাকেন তারা এই হাদীস দিয়েই দলিল প্রমাণ করতে চান। কিন্তু এটা কখনোই তা নয়। যদি আমরা এই হাদিসের সঠিক শানে নযুল দেখি তাহলে তা আরও স্পষ্ট হবে আমাদের জন্য।
বিদআতের পরিনামঃ
নাসাঈ শরীফে এসেছে সকল পথভ্রষ্টতাই জাহান্নামী। অর্থাৎ যারা বিদআতে লিপ্ত হয়ে ইসলামের সঠিক পথ থেকে দূরে সরে যাবে তারা প্রকারান্তে জাহান্নামী। তাছাড়া যারা বিদআতে লিপ্ত তারা কখনোই রাসুলের (সাঃ) শাফায়াত প্রাপ্ত হবে না।
আবু হাসেম(রাঃ) হতে বর্ণিত-
, তিনি বলেন আমি সাহালকে বলতে শুনেছি তিনি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, “আমি তোমাদের পূর্বেই হাওযে কাওসারের নিকট পৌঁছে যাব । যে ব্যক্তি সেখানে নামবে এবং তার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসিত হবে না । কতিপয় লোক আমার নিকট আসতে চাইবে, আমি তাদেরকে চিনি আর তারাও আমাকে চেনে । অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে । রাসূল (সাঃ) বলবেন: তারা তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত। তাকে বলা হবে আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি আমল করেছে । তখন যে ব্যক্তি আমার পরে (দ্বীনকে) পরিবর্তন করেছে তাকে আমি বলবো: দূর হয়ে যা, দূর হয়ে যা” (সহীহ মুসলিম-৪২৪৩)
সুস্পষ্ট এই হাদীসে এসেছে, যারা রাসুল (সাঃ) এর দ্বীন ছেড়ে ইবাদতের উদ্দেশ্যে নতুন আমল শুরু করবে তাদের তিঁনি দূর দূর করে তাড়িয়ে দিবেন। সুতরাং বিদআত নিয়ে কোনপ্রকার বিতর্কে জড়িয়ে লাভ নেই। ভালো বিদআত খারাপ বিদআত বলে নতুন কোনো আমল করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। কেননা ইসলাম পরিপূর্ণ।
আল্লাহ বলেন -
আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম ।(সূরা মায়েদা :৩ এর অংশবিশেষ)
অর্থাৎ ইসলাম সম্পূর্ণ। ইসলামে এমন কিছু নেই যা রাসুল (সাঃ) বলেননি বা করেননি বা তাঁর উম্মতকে শিক্ষা দেননি। হাদীসে এসেছে -
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন ‘আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে কেবল ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে অসম্মত। জিজ্ঞেস করা হ’ল, কে অসম্মত? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করবে, সে (জান্নাতে যেতে) অসম্মত’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৪৩)।
স্পষ্ট কথা হচ্ছে রাসুল (সাঃ) যে বিষয়ে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে চুল পরিমাণ কমানো বা বাড়ানো যাবেনা। যদি কেউ এমন করেন তবে তা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য। যে রাসুল (সাঃ)কে পরিত্যাগ করলো সে কখনোই সফলকাম নয়।
বিদআতের নমুনাঃ
আজ উপমহাদেশের মুসলিমরা বিদআতের নামে ছাড়াছাড়ি এবং বাড়াবাড়ি করছে।
বাড়াবাড়িঃ
রাসুল (সাঃ) যা করেননি তাই করেই বাড়াবাড়ি করছে। যেমনঃ মীলাদ, শবে বরাত, চল্লিশা, মুদ্দারের সামনে কুরআন পড়া, খতমে জালালী, খতমে ইউনুস, কুরআন খানি, ফাতিহা খানি, শবীনা খতম, দরুদে তাজ, দরুদে লাক্ষী, দু‘আয়ে গাঞ্জুল আরশ, কুম কুম ইয়া হাবীবা ওযীফা, উরস, কবরে চাদর দেয়া, কবর পাকা করা, কবর পূজা করা, কবরের উপর লেখা, তাতে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা, সেখানে আগর বাতি-মোমবাতি জ্বালানো, সেখানে নযরানা পেশ করা, মুখে নিয়্যাতের গদ উচ্চারণ করা (নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া ----- বলে), ফরজ সালাতের পর এবং জানাযার সালাতের পর সস্মিলিতভাবে হাত তুলে দু‘আ করা প্রভৃতি। এগুলো এমন ‘আমাল যার মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর তরীকা বিদ্যমান না থাকায় নিঃসন্দেহে বিদ’আত- যার পরিণাম জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু নয়।
ছাড়াছাড়িঃ
রাসুল (সাঃ) উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন এমন অনেক কিছুই আজ আমরা ছেড়ে দিয়েছি। যেমনঃ জানাজার সালাতে সূরা ফাতেহা পাঠ ছেড়ে দেওয়া। প্রতি ফরজ সালাতের পর দোয়া পাঠ করা (মুনাযাত নয়)। অসংখ্য হাদীসে এসেছে রাসুল (সাঃ) ফরজ সালাতের পর বসে অনেক দোয়া পাঠ করতেন। কিন্তু এখন আমাদের সমাজে ফরজ সালাতের পর ইমামসহ সবাই মিলে মুনাযাত করি। যা কখনোই রাসুলের (সাঃ) সুন্নাহ নয়। একাকী অবস্থায় যেকোনো সালাতের পর যেকেউ মুনাযাত করে দোয়া চাইতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন প্রতি ফরজ সালাতের পর সবাই মিলে মুনাযাত নেই। এই মুনাযাতের ফলে হাদীসে আসা অসংখ্য দোয়া আজ আমরা কেউ পড়ি না।
সর্বশেষ কথাঃ
সঠিকভাবে সকল হাদীস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, রাসুল (সাঃ) ইসলামে সৃষ্ট প্রত্যেক বিদআতকেই পথভ্রষ্ট বলেছেন। তিনি কোনো হাদীসেই এমন উল্লেখ করেননি যে, কিছু ভালো বিদআত কিছু মন্দ বিদআত। বা এমনও বলেননি এইগুলি হচ্ছে বিদআত আর এই গুলো হলো ভালো। বা এইগুলি করলে বিদআত হবে এগুলো করলে হবেনা। সুতরাং আমাদের উচিত হবে যা কুরআন এবং সুন্নাহের পরিপন্থী তা সর্বদা বর্জন করা। আল্লাহ আমাদের হিদায়াত নসিবের তৌফিক দিন। আমিন।
আরও পড়ুনঃ
ইলমে গায়েব
রাসুল (সাঃ) আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি
রাসুল (সাঃ) হচ্ছেন নূর