রাষ্ট্রীয় শিরক? কীভাবে মানুষ রাষ্ট্রীয় শিরক করে |
রাষ্ট্রীয় শিরক? কীভাবে মানুষ রাষ্ট্রীয় শিরক করে
একজন মুসলিমের ইমানের মূল হলো তাওহিদ। যে ব্যক্তি আল্লাহর তাওহিদের উপর ইমান আনে সে হচ্ছে মুসলিম। তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। যে শিরক করে তার কোনো ইমান আমলই কিয়ামতে গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ সেই শিরক সম্পর্কেই আমরা ভালোভাবে অবগত নই। আমাদের সমাজে সালাত, সিয়াম, হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদি ইবাদতকে যতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হয় শিরক সম্পর্কে ততটুকু গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
শুধু তাই নয় আল্লাহর দুনিয়ায় (খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির চেয়েও) সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে শিরক। আল্লাহ বলেন, "আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়।" (সূরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৩)
আর তাই আল্লাহ কখনোই (দুনিয়াতে তওবা ছাড়া) শিরক ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন, "নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।" (সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ৪৮)
তাই প্রতিটি মুসলমানেরই উচিত শিরক সম্পর্কে অবগত হওয়া। শিরক বিষয়টি ব্যাপক। আজ আমরা রাষ্ট্রীয় শিরক কী তা জানার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন সুফি সুন্নীদের তাবিজ সম্পর্কিত আকিদার জবাব
শিরকের অর্থ
শিরকের অর্থ হলো অংশীদার স্থাপন করা। অর্থাৎ কোনো বিযয়ে কারো সাথে অন্য কারো শরীক সাব্যস্ত করাই হলো শিরক। শিরক শব্দটি যখন আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন এর অর্থ দাঁড়ায়, আল্লাহর কোনো ইবাদত বা ক্ষমতার সাথে অন্য কাউকে শরিক বা অংশীদার করা।
এই শরিক করা হতে পারে, আল্লাহ যা পারেন তা অন্য কেউ তার সমান বা কম, বেশি পারেন। হতে পারে আল্লাহর জন্য যা করলাম তার সমান বা কম বেশি অন্য কারো জন্য করলাম। এটাও হতে পারে আল্লাহরটা মানলাম আবার মানুষের তৈরি আল্লাহর বিরুদ্ধেরটাও মানলাম। এককথায় যেসব বিষয় শুধুমাত্র আল্লাহর, সেখানে তাঁর সাথে অন্য কারো তুলনা করা, মানা বা সম্মান করাই হচ্ছে শিরক বা আল্লাহর সাথে অংশীদার করা। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত, বিধি-বিধান এবং সিফাতকেই মানতে হবে। তাওহিদের তিনটি ভাগ রয়েছে। তাওহিদুল রুবূবিয়্যাহ, তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ, তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত। আজ আমরা তাওহিদুল রুবূবিয়্যাহর অধীনে রাষ্ট্রীয় শিরক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
ভোট ও গনতন্ত্র শিরকের অন্তর্ভূক্ত |
রাষ্ট্রীয় শিরক কী
রাষ্ট্রীয় শিরক কী, জানতে হলে আগে জানতে হবে আল্লাহর ক্ষমতা ও বিধিন কী কী। আমরা কালেমাতে সাক্ষী দিই, "আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য বা আনুগত্য করার কেউ নেই।" অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহরই আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কারো কোনো কিছুই মানা যাবে না।
যেমন দুনিয়াতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অনেক গুলো তন্ত্র যেমন রাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি রয়েছে। ঠিক তেমনি আল্লাহও তাঁর রাসুলের (সা:) মাধ্যমে পৃথিবীতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি তন্ত্র দিয়েছেন। তার নাম হলো ইসলামি শাসনতন্ত্র। আল্লাহ বলেন "সাবধান! সৃষ্টি তাঁরই, এর উপর প্রভুত্ব চালাবার-একে শাসন করার অধিকারও একমাত্র তাঁরই। " (সুরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪)
অর্থাৎ এই পুরো সৃষ্টি জগৎই হচ্ছে আল্লাহর। সুতরাং এর উপর শুধু আল্লাহরই ক্ষমতা চলবে। তাই আল্লাহ বলেন, “(আল্লাহ) সেই মহান সত্বা অতীব বরকতময়, যার হাতে রয়েছে সকল রাজত্ব। আর তিনি প্রতিটি বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।” (সুরা আল-মুলক, আয়াত: ১)
আর এই কারণেই আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা.) কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, "নিশ্চয় আমি (হে রাসুল) আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান।" (সুরা: আন নিসা, আয়াত: ১০৫)
অর্থাৎ রাসুল (সা.) মানুষের জন্য যেসব আইনকানুন প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, সেইসব আইনকানুন দ্বারাই বিশ্ব পরিচালিত হবে। তাই যদি কেউ রাসুল প্রতিষ্ঠিত আল্লাহর তন্ত্র বা বিধি-বিধান বাদ দিয়ে দুনিয়ার বিভিন্ন তন্ত্র (গনতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র) বা বিধান মানে তাহলে সে আল্লাহর সাথে অংশীদার করবে। আর এটাই হলো রাষ্ট্রীয় শিরক।
আরও পড়ুন শিরক কী? মানুষ কীভাবে শিরক করে
ভোট দেওয়া মানেই রাষ্ট্রীয় শিরকে জড়িত হওয়া |
কীভাবে রাষ্ট্রীয় শিরক হয়
কালেমা শাহাদাতে বলা হচ্ছে একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য। এই কালেমার জন্যই রাসুল (সা:) কে মক্কা থেকে বিতাড়াতি করা হয়েছিল। মক্কার মুশরিকরা আল্লাহকে স্বীকার করতো তা কুরআনের অনেক আয়াতে প্রমাণিত। কিন্তু যখন বলা হলো শুধুমাত্র এক আল্লাহরই আনুগত্য করতে হবে তখনই আবু জাহেলসহ মক্কার নেতারা ক্ষেপে গেল। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহর আনুগত্য করার অর্থ হলো- আল্লাহর ছাড়া সকল কিছুই বাতিল। অর্থাৎ আল্লাহর আইন ছাড়া সব বাতিল।
এখন আমাদের দেশেসহ পৃথিবীর বেশীরভাগ রাষ্ট্রে গনতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এই গনতন্ত্রের বিভিন্ন বিধি বিধান রয়েছে যা মানুষের সৃষ্টি। মানুষের তৈরি আইন দিয়েই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে- আমরা যে কালেমা পড়ে ইমান আনছি সেখানে বলছি যে একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য করবো। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর বিধান মেনে চলবো। কিন্তু গনতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে মানুষের বিধান মেনে নিয়েছি। এভাবেই আমরা আল্লাহর বিধানের সাথে অন্য একটি বিধান দিয়ে আল্লাহর সাথে অংশীদার তথা শিরক করলাম।
বিভিন্ন দল সমর্থনে তাদের আইন মানার সাথে সাথে আল্লাহর সাথে শিরক হয় |
গনতন্ত্র কেন শিরক
এখন কথা হচ্ছে এতো কিছুর মধ্যে ভোট বা গনতন্ত্র কীভাবে শিরক হলো? তা বুঝতে হলে আমাদের একটু ব্যাখার প্রয়োজন আছে। আমরা স্বীকার করি পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহই বিধি-বিধান দেওয়ার মালিক। আল্লাহই সকল শাসনব্যবস্থার মালিক। আল্লাহ একমাত্র বিচার করার মালিক এবং আল্লাহই সকল নির্বাহী ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি। সুতরাং আল্লাহর যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে শুধুমাত্র তা-ই আমাদের মানতে হবে।
আরও পড়ুন সুফিবাদী সুন্নীদের আকিদা সমূহ
অথচ গনতন্ত্রে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আমরা শিরকে জড়িয়ে পড়েছি। যেমন আমরা ভোটে আমরা এমপি নির্বাচন করি। সেই এমপিরা সংসদে গিয়ে আইন তৈরি করে। এখন ইসলামে আছে চুরি করলে হাত কাটতে হবে। আল্লাহ বলেন, "যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে।" (সূরাঃ আল মায়িদাহ, আয়াতঃ ৩৮)
অতএব যে চুরি করে সে যদি স্বভাবের কারণে চুরি করে তাহলে তার হাত কেটে দিতে হবে। কিন্তু যে পেটের দায়ে চুরি করে তাহলে তাকে রাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে খাবারের ব্যবস্থা করে দিবে। এবং এটাই আল্লাহর আইন।
বর্তমানে অভাবের চোর নেই বরং স্বভাবে চোরই বেশী। যাদের পয়সা আছে তাদের আরো পয়সার লোভের কারণে বিভিন্ন দুর্নীতি করে। যদি ইসলামি আইন হয় তাহলে এইসব স্বভাব-চরিত্রের চোরদের হাত কাটা যাবে। আর গরিব কেউ চুরি করলে তাকে রাষ্ট্র খাবারের ব্যবস্থা করে দিবে। কিন্তু গণতন্ত্রের দুটোই অসম্ভব। গরীবকে চাকরি দেওয়া যাবে না আর পয়সাওয়ালার হাত কাটা যাবে না। তাই নতুন আইন করতে হবে।
আইন কারা করবে? এই আইন সকল এমপিরা মিলে সংসদে পাস করবে। তারা হাত কথার বদলে ছয় মাসের জেল-জরিমানা ইত্যাদি ব্যবস্থা করল। যাতে গরিবের গরিবী আরো বাড়ে আর পয়সাওয়ালা কিছুই না হয়। কেননা সে জরিমানা দিয়ে চলে আসবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে তৈরি করল এসব আইন? উত্তর এমপিরাই তৈরি করল? আর তাদের এমপি বানালো কে? উত্তর আমার আপনার মত নামধারী মুসলিমরাই ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছে। আর এই এমপিরা আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের সুবিধামতো আইন করল।
আমরা যদি কেউ ভোট না দিতাম তাহলে এইসব এমপি তৈরি হত না। আর এমপি না হলে আইন তৈরী হতোনা। এখানে কয়েকটা বিষয় স্পষ্ট। ভোট দেওয়ার সাথে সাথে আমরা এমপির সকল কাজের অংশীদার হলাম। অর্থাৎ এমপিরা যা করবে তার সব ভাগ আমাদের উপর বর্তাবে। তিনি ভাল কিছু করলে বা খারাপ কিছু করলে তার সবকিছুই আমাদের ওপর থাকবে। যদি দুনিয়াবী চুরি-চামারি খুন ধর্ষণ ইত্যাদি অপরাধ এমপিরা করে তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন।
আরও পড়ুনরাসুল সাঃ ও পীর অলি আউলিয়া সম্পর্কিত আকিদার জবাব
কিন্তু আল্লাহর বিরুদ্ধে আইন করে তার সাথে অংশীদার করে শিরিক করার অপরাধ করলে আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। কেননা শিরক বা আল্লাহর অংশীদার খুবই মারাত্মক অপরাধ। জেনে না জেনে না কেউ শিরকের অপরাধ করলে তা আল্লাহ কেয়ামতে কখোনই ক্ষমা করবেন না। সুতরাং ইসলামে প্রতিটি ভালো কাজের সওয়াব যেমন আছে ঠিক তেমনি প্রতিটি খারাপ কাজেরও ভাগ রয়েছে। অতএব কোন খারাপ কাজের অংশীদার হলে তার ভাগও আমাদের নিতে হবে। এভাবেই আমরা স্পষ্ট ভাবে আল্লাহর সাথে শিরক করে চলেছি।
দুনিয়াবী আইন প্রতিষ্ঠা করা মানেই হচ্ছে আল্লাহর সাথে শরিক করা |
রাষ্ট্রীয় শিরক সবচেয়ে মারাত্মক
যত প্রকার শিরক দুনিয়ায় আছে তারমধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থার শিরক। কেননা আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা:) কে শুধুমাত্র সালাত, সিয়াম, হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত করার জন্য বা এইসব ইবাদত প্রতিষ্ঠা করার জন্য পৃথিবীতে পাঠাননি। এইসব ইবাদত কালেমা আসার অনেক পরে নাযিল হয়েছিল। আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা:) কে পৃথিবীতে পাঠানোর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা করা।
যদি পৃথিবীতে আল্লাহর বিধিন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে আল্লাহর ইবাদত সমূহ অটোমেটিক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। যেমন হয়েছিল হযরত উমর (রাঃ) শাসনামলে। তাই প্রতিটি ইমানদারের প্রথম কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে শিরক মুক্ত করা। প্রতিটি জায়গায় ইসলামি বিধান কায়েম করতে পারলে আমরা সত্যিকারের ইমানদার হবো।
আরও পড়ুন সুফি সুন্নীদের বিভিন্ন আকিদা সম্পর্কিত জবাব
কিছু শিরক না জেনে করছি
সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের স্মরণে সমাধি, স্মৃতিস্তম্ভ, স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনার নির্মাণ, এগুলোকে সম্মান জানানো, সামনে দাঁড়িয়ে নীরবতা ১ মিনিট পালন করা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিনিয়তই আমরা শিরকে লিপ্ত হচ্ছি। যেকোনো প্রকার শহীদদের জন্য আমরা দোয়া করতে পারি। যাতে আল্লাহ তাদের নাজাত দেন। কিন্তু পূজার মতো করে বিভিন্ন মূর্তির মতো বেদী তৈরি করে সম্মান জানানো এবং সেখানে ফুল দেওয়া কখনোই উচিত নয়। এইসব ইসলাম সমর্থন করে না। এইসব করার সাথে সাথে আমরা শিরকে জড়িয়ে পড়ব। এইসব থেকে আমাদের বেঁচে থাকা উচিত।
করনীয় কী
রাষ্ট্রীয় শিরক কারো একক শিরক নয়। তাই এর থেকে মুক্ত হতে হলে সর্বাত্মক সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যেহেতু শক্তির দিক থেকে আমরা দুর্বল (একত্রিত হতে না পারার কারণে)। সেহেতু আমাদের চেষ্টা হবে এই কাজে সহযোগী না হওয়া এবং দায়িত্ব না নেওয়া। অর্থাৎ আমরা কাউকে ভোট দিব না। কোনো দলেরই সমর্থন করব না। সোজা কথায় ভোট না দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করলাম। এই প্রত্যাখ্যানের ফলে আমরা গনতন্ত্রের ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ থেকে নিজেদের মু্ক্ত রাখতে পারবো।
গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে না পারার কারণে যে যেই অবস্থানে আছি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। যদি এটাও সম্ভব না হয় তবে নিজেদের কিভাবে মুসলিম দাবি করতে পারি ? যারা ভোট দেয় এবং দুনিয়াবী দল সমর্থন করে। তারা প্রতিনিয়তই আল্লাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এই গনতন্ত্রের ভোটের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়তই শিরক করে যাচ্ছি।
সুতরাং প্রতিটি মুসলমানের ভেবে দেখা উচিত তারা ভোটের মাধ্যমে কীভাবে আল্লাহর সাথে শিরক করে চলেছে। দুনিয়াবী বিভিন্ন দলকে সমর্থন এবং ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর আইনের সাথে সর্বদাই শিরক করে যাচ্ছি। অতএব এখনই উচিত শিরক সম্পর্কে জানা এবং এর থেকে তওবা করে বিরত থাকা।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
২৪ অক্টোবর ২০২১
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
কৃতজ্ঞতায়
By "Bangla Quran" App - https://alquranbd.com/AndroidApp